AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BLO: CEO অফিসে বিক্ষোভে উদ্বিগ্ন কমিশন, পুলিশের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব

BLO: সোমবার দুপুরেই সিইও- দফতরে বিক্ষোভ দেখায় বিএলও অধিকার মঞ্চ। এক আন্দোলনকারী বিএলও দফতরের গেটে তালা ঝোলাতে যান। তাঁদের বিক্ষোভ ঠেকাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।  পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।

BLO: CEO অফিসে বিক্ষোভে উদ্বিগ্ন কমিশন, পুলিশের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব
CEO অফিসে মোতায়েন কলকাতা পুলিশImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2025 | 2:48 PM
Share

কলকাতা: ‘তৃণমূলপন্থী’ বিএলও-দের বিক্ষোভ সিইও অফিসে। সিইও অফিসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২ দিনের মধ্যে কলকাতা পুলিশের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব কমিশনের। প্রায় দেড় দিন ঘেরাও ছিলেন CEO মনোজ আগরওয়াল। কমিশনের পর্যবেক্ষণ, সিইও দফতরের বর্তমান নিরাপত্তা পর্যাপ্ত নয়। আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কমিশন উদ্বিগ্ন।

কলকাতা পুলিশকে কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, সিইও দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের বাসভবনেও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। ভবিষ্যতে যেন আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।

এখনও পর্যন্ত CEO দফতরে বাইরে কলকাতা পুলিশের একটি টিম মোতায়েন রয়েছে। ব্যারিকেড দেওয়া রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে CEO মনোজ আগরওয়াল বিক্ষোভকারী বিএলও-দের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। তারপরই অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন বিএলও অধিকার মঞ্চের সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরেই সিইও- দফতরে বিক্ষোভ দেখায় বিএলও অধিকার মঞ্চ। এক আন্দোলনকারী বিএলও দফতরের গেটে তালা ঝোলাতে যান। তাঁদের বিক্ষোভ ঠেকাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।  পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তবে প্রথম থেকেই বিএলও অধিকার মঞ্চের সদস্যরা দাবি করে আসছেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের সমস্ত কাজে পাশে রয়েছেন। সজল ঘোষ, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলপন্থী।

সোমবার মধ্যরাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। সিইও-কে ঘেরাও করেন আন্দোলনকারী বিএলওরা। পরে সজল ঘোষের বাহিনী  পৌঁছয় সেখানে। উপস্থিত হন খোদ বিজেপি নেতা সজল ঘোষও। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁরও কথা কাটাকাটি-ধস্তাধস্তি হয়। মধ্যরাতেই CEO দফতরের বাইরে তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ভোর রাত থেকে সিইও দফতরের গেটের বাইরেই আলোচনা চেয়ে ধরনায় বসে থাকেন বিএলও অধিকার মঞ্চের সদস্যরা। রাতে বাধ্য হয়ে মনোজ আগরওয়াল আলোচনায় বসেন।