কলকাতা: ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইনের পক্ষে বিল আসছে বিধানসভায়। ঘোষণা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ তারিখ ডাকা হচ্ছে বিশেষ অধিবেশন। ৩ তারিখ আনা হতে পারে বিল। ইতিমধ্যেই বিল পেশের পক্ষে সবুদ সংকেত দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এ নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই ছাত্র সমাজকে বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাফ বলেছেন, “ছাত্র সমাজকে বলব ওই দিন বিধানসভার অধিবেশন করুন। আমরা ভিতরে বিধায়করা বুঝে নেব। আর রাস্তায় ছাত্র সমাজের লোকজন আপনারা বুঝে নেবেন।” এবার তা নিয়েই পাল্টা বিজেপির তুলোধনা করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কুণালের দাবি, আসলে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। তাই এসব বলা হচ্ছে। আর দিল্লির নেতারা বাংলায় অশান্তি তৈরির ‘নির্দেশ’ দিচ্ছেন। কুণাল বলছেন, ধর্ষণ-খুনে ফাঁসি চাই। কড়া আইনের পক্ষে সদিচ্ছা দেখিয়ে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে বিল আনছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেছেন। সেখানে কিসের আপত্তি? আইনি যা যা বিষয় তা তো আইনে হবে। সেখানে এই ওই অভিযান করুন বলার মানে কী!”
এখানেই না থেমে আক্রমণের সুর আরও জোরাল করে কুণাল বলেন, “আসলে দিল্লি বিজেপি বলছে বাংলায় অশান্তি তৈরি করুন। আর এখানের বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। একজন যদি অরজাকতার জন্য নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় তো বিকালে একজন বলছে বাংলা বনধ করো। বাংলা বনধের দিন আবার অনেককে দেখা যাচ্ছে না। বিজেপি নেতারা নিজেদের ঝগড়ার জন্য বাংলাকে তাঁরা অশান্তির দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতির মন্তব্য় নিয়েও দেগেছেন তোপ। খোঁচা দিয়েই বলছেন, “আপনার পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা বলে আরজি করের কথা মনে পড়ল। আপনি রাষ্ট্রপতির চেয়ারে আছেন। বিজেপি নেত্রী নন। আমরা আপনাকে শ্রদ্ধা করি।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)