Arpita Mukherjee: ধোপে টিকল না ‘ভিক্টিম কার্ড’! কোন যুক্তিতে অর্পিতার জামিনের আর্জি খারিজ?

Recruitment Scam: শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। আজ সেই জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই অপরাধের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি অস্বীকার করতে পারেন না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

Arpita Mukherjee: ধোপে টিকল না 'ভিক্টিম কার্ড'! কোন যুক্তিতে অর্পিতার জামিনের আর্জি খারিজ?
অর্পিতার 'সেকাল-একাল'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2023 | 4:25 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। গ্রেফতারির পর এতদিন ধরে জামিনের জন্য কোনও আবেদন করেননি তিনি। শেষে চলতি মাসেই গ্রেফতারির ৩২২ দিনের মাথায় হঠাৎ করে জামিনের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বান্ধবী। ২৯ মে কলকাতায় বিশেষ ইডি আদালতে অর্পিতার জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। বহুদিন পর ওই জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য সশরীরে আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন তিনি। শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। বুধবার সেই জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই অপরাধের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি অস্বীকার করতে পারেন না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

আদালত নির্দেশনামায় স্পষ্ট জানিয়েছে, যে সব তথ্য ও নথি এই মামলায় উঠে এসেছে, এতদিনে যা যা কিছু পাওয়া গিয়েছে… তা থেকে এটা স্পষ্ট যে এই সবকিছুর সঙ্গে আবেদনকারী জড়িত রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, নগদ টাকা, সোনা-গয়না পাওয়া গিয়েছে, তা প্রসিডস অব ক্রাইম। সে বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। তদন্তের সময়ে যে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, সেখান থেকেও তিনি যে কোনও কিছুর শিকার হচ্ছেন… এমন তত্ত্বও খাড়া করা যাচ্ছে না। আদালত আরও জানিয়েছে, যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে এবং আবেদনকারী যে মাত্রায় জড়িত রয়েছেন, তা থেকেই স্পষ্ট এই অপরাধ কতটা গুরুতর।

এক্ষেত্রে অর্পিতার জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারক তাঁর নির্দেশনামায় উল্লেখ করেছেন, আদালত মনে করছে, আবেদনকারী আর্থিক তছরুপ দমন আইনের ৪৫ নম্বর ধারার সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন। কিন্তু কী এই ৪৫ নম্বর ধারা? পিএমএলএ আইনের ৪৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, আর্থিক তছরুপ মামলায় কোনও অভিযুক্ত যখন জামিনের জন্য আবেদন করেন, তখন আদালত প্রথমে সরকারি আইনজীবীকে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেয়। সেক্ষেত্রে সরকারি আইনজীবী যদি জামিনের বিরোধিতা করেন, তখন আদালত বিবেচনা করে দেখে অভিযুক্ত প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে কতটা জড়িত। সেক্ষেত্রে একমাত্র আদালত যদি বিবেচনা করে জামিন দেওয়ার জন্য সন্তুষ্ট হয়, একমাত্র তাহলেই অভিযুক্ত জামিন পেতে পারেন।

অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারক আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের গর্হিত অপরাধের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজন মহিলা বলে তিনি জামিন পেয়ে যাবেন, তা হতে পারে না। তাই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।