Kalyanmoy Ganguly: ‘আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে’, সাফাই দিয়েও সিবিআই হেফাজতে কল্যাণ
Kalyanmoy Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন তিনি।

কলকাতা : সিবিআই-এর দাবি, যাঁরা যোগ্য প্রার্থী না হয়েও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের নিয়োগপত্রে সই ছিল প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই অভিযোগেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই, পরে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার আদালতে পেশ করা হলে কল্যাণময়ের তরফে দাবি করা হয়, কোনও সই তিনি করেননি। নিয়োগের ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা থাকার কথাও অস্বীকার করেন তিনি। তবে তাঁর সে সব যুক্তি এ দিন ধোপে টেকেনি। তাঁকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারক বিচারক শেখ কামালুদ্দিন। একই মামলায় এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও সিবিআই আদালতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ দিন আদালতে এসে পার্থর পাশেই বসেছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। যদিও দুজনের মধ্যে বিশেষ কোনও কথাবার্তা হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
এ দিন কল্যাণময়ের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, কোন সই তাঁর করা নয়। স্ক্যান করা সই। কোনও পরীক্ষা বা ইন্টারভিউও তিনি নিতেন না বলেই জানিয়েছেন। দাবি করা হয়েছে, পরীক্ষা নিত স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনেক সুপারিশ পেলে তবেই নিয়োগ করা হত।
শুধু তাই নয়, কল্যাণময় সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে বলেও এ দিন আদালতে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী। বলা হয়েছে, কোনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগের কথা জানা নেই, তাও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সম্পত্তি বা টাকা নেওয়ার অভিযোগ নেই বলেও দাবি। অবসরের পর ওই পর্ষদ সভাপতির পদ পেয়েছিলেন কল্যাণময়। বর্তমানে ৭০ বছর বয়স তাঁর। এ কথা উল্লেখ করে জামিনের আবেদন জানালেন আইনজীবী। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কল্যাণময়কে। এরপরই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এবার তাঁকে ও পার্থকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।





