Cow smuggling case: গরুপাচারের টাকা ঘুরপথে শুল্ক দফতরের কর্তাদের হাতে? তদন্ত উন্মোচনে কাস্টম অফিসে হানা সিবিআই-এর
Cow smuggling case: একাধিক সময়ে সীমান্তে গরু পাচার হওয়ার সময় তা হাতেনাতে ধরা পড়ে বিএসএর-এর হাতে। এক কথায় বিএসএফ তা বাজেয়াপ্ত করে।
কলকাতা: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে জেরা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। এবার গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের অফিসে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। সোমবার রবীন্দ্র সরণীর কাস্টম অফিসে পৌঁছন চারজন সিবিআই আধিকারিক। এর আগে তদন্তের স্বার্থ একাধিক কাস্টম কর্তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল।
একাধিক সময়ে সীমান্তে গরু পাচার হওয়ার সময় তা হাতেনাতে ধরা পড়ে বিএসএর-এর হাতে। এক কথায় বিএসএফ তা বাজেয়াপ্ত করে। সেই গরু আবার ঘুর পথে পাচারকারীদের হাতে চলে আসত শুল্ক দফতরের একাংশ অফিসারদের মারফত এমনটাই অনুমান করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে টাকার কিছু লেনদেন হয়েছিল বলে খবর সিবিআই সূত্রে।
সূত্রের খবর, সোমবার ওই অফিসে অসীম কুমার টিকাদার নামের শুল্ক দফতরের এক অফিসারকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ওই অফিসার ইতিপূর্বে সীমান্ত এলাকায় শুল্ক দফতরের হয়ে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়কালে গরু পাচারের বিষয়ে তথ্য হাতে পেতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেই সূত্রের খবর। পাশাপাশি পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং পরিচিতির বিষয়েও জানতে চাওয়া হয় এই আধিকারিককে। বর্তমানে ওই অফিসার শুল্ক দফতরের রবীন্দ্র সরণীর অফিসে কর্মরত আছেন।
এ দিন, মূলত এই সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি সংগ্রহ ও তথ্য যাচাই করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা এসেছেন শুল্ক দফতরে। উল্লেখ্য, এর আগে গরু পাচার মামলায় বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। উল্লেখ্য, শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজুর সঙ্গে ওই ফরচুনা গাড়িতে ছিলেন গরু পাচারের অন্যতম মাথা হিসাবে অভিযুক্ত আবদুল লতিফ। সূত্রের খবর ইলাম বাজারের এই ব্যবসায়ী আবার এনামুল হকের ডানহাত হিসাবে পরিচিত। আর এনামুল অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। আবার এই আবদুল লতিফ সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার। তাই রহস্যের জাল কীভাবে উন্মোচন হয় এখন তারই চেষ্টায় গোয়েন্দারা।