Kunal Ghosh: ‘যুবভারতী-কাণ্ডে সিপিএমের কিছু বলার অধিকার নেই’, কেন? উদাহরণ দিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ
Messi in Kolkata: এখানেই শেষ নয়। এরপরই অরূপ বিশ্বাসের হয়ে ব্যাট ধরে কুণাল লেখেন, ‘সেই জমানায় ফেসবুক ছিল না বলে মানুষ ভুলে যাবেন তা কী হয়? আজ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আক্রমণের আগে এগুলো মনে রাখবেন। মারাদোনার পাশে সেবার সুভাষবাবু ছিলেন, মহেশতলায় সিপিএমের তখনকার সাংসদ শমীক লাহিড়ীও ছিলেন, এখন গণশক্তির সম্পাদক।’

কলকাতা: ‘আমরাও নিন্দা করছি। মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত করাচ্ছেন। কিন্তু সিপিএমের কিছু বলার অধিকার নেই।’ যুবভারতী-কাণ্ড নিয়ে ফের একবার ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যুবভারতী কাণ্ডের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ দেগে চলেছে বিরোধীরা। সুকান্ত মজুমদার থেকে মহম্মদ সেলিম, তুলোধনা করছেন গোটা ব্যবস্থাপনার। একইসঙ্গে একযোগে সকলের নিশানায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। এবার যেন সেই অরূপ বিশ্বাসের হয়েই ব্যাট ধরতে দেখা গেল কুণাল ঘোষকে। ফেসবুকে লিখলেন লম্বা পোস্ট। সঙ্গে ছবি।
কুণাল লিখছেন, ‘যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেবার যে অত্যাচারটা মারাদোনার উপর হয়েছিল, মাঠে লোক এবং মারাদোনাকেই খোঁচাখুঁচি, ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী জনতার আবদার মেটাতে যে অত্যাচার করেছিলেন; তার পরিণতিতে তারপর মোহনবাগান মাঠের অনুষ্ঠানে সুভাষবাবুকে নিয়েই বেঁকে বসেছিলেন মারাদোনা। গাড়ি থেকে নামতে চাননি। ঐতিহাসিক মন্তব্য ছিল, ওই টুপি পরা লোকটা এখানে থাকলে আমি মাঠে যাব না।’
এখানেই শেষ নয়। এরপরই অরূপ বিশ্বাসের হয়ে ব্যাট ধরে কুণাল লেখেন, ‘সেই জমানায় ফেসবুক ছিল না বলে মানুষ ভুলে যাবেন তা কী হয়? আজ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আক্রমণের আগে এগুলো মনে রাখবেন। মারাদোনার পাশে সেবার সুভাষবাবু ছিলেন, মহেশতলায় সিপিএমের তখনকার সাংসদ শমীক লাহিড়ীও ছিলেন, এখন গণশক্তির সম্পাদক।’ শনিবার যুবভারতীর ওই ভয়ঙ্কার কাণ্ডের পরেই মুখ খুলেছিলেন কুণাল। মেসি-দর্শন অধরা থেকে যাওয়ায় দর্শকদের ক্ষোভ স্বাভাবিক বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। যদিও তার কিছু সময়ের মধ্যে মাঠে গেরুয়া পতাকা দেখতে পাওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই আবার আয়োজকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিল্লির চক্রান্তেরও গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। তা নিয়েও চলছে চাপানউতোর।
