AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অজন্তার কলমে ‘খাঁড়া’! ৩ মাসের জন্য অনিল-কন্যাকে সাসপেন্ড করল সিপিএম

CPM: বাম শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন চলছিলই, কৃত 'অপরাধের' জন্য সাসপেনশনের মুখোমুখি পড়তে পারেন সিপিএমের প্রয়াত প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস।

অজন্তার কলমে 'খাঁড়া'! ৩ মাসের জন্য অনিল-কন্যাকে সাসপেন্ড করল সিপিএম
'জাগো বাংলা'য় অজন্তার লেখা
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2021 | 3:51 PM
Share

কলকাতা: তৃণমূলের রাজনৈতিক মুখপত্রে প্রবন্ধ লিখে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে  সাসপেনশনের মুখে পড়লেন অনিল-কন্যা অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাস (Ajanta Biswas)। বাম শিবির সূত্রে খবর, আগামী তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হচ্ছে অজন্তাকে। মঙ্গলবার, সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে, কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী অনিল-কন্যার সাসপেনশনে সবুজ সঙ্কেত দেন। তবে, এখনও এ বিষয়ে অজন্তার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বাম শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন চলছিলই, কৃত ‘অপরাধের’ জন্য সাসপেনশনের মুখোমুখি পড়তে পারেন সিপিএমের প্রয়াত প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস। তবে কতদিনের জন্য তাঁকে নিলম্বিত করা হবে তা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কলকাতা জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। মঙ্গলবার, সেই  সিদ্ধান্তেই অবশেষে সিলমোহর।

প্রসঙ্গত,  ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ শীর্ষক বিষয়ে তৃণমূলের মুখপত্রে গত ২৮ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই তিন কিস্তিতে অজন্তার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। শেষ কিস্তিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশস্তিও ছিল। যা দলের সদস্য হয়ে কাম্য় নয় বলেই দাবি বাম নেতৃত্বের। প্রাথমিকভাবে,   সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তার উত্তর সম্পাদকীয় লেখাকে ‘খারাপ কাজ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। শুধু তাই নয়,  অজন্তা তাঁর রচনায়, সিঙ্গুর আন্দোলনকে গণবিক্ষোভ বলে উল্লেখ করেন, যা মূলত দলের বিচার ও ভাবধারার পরিপন্থী।  দলের সদস্য হয়ে প্রতিপক্ষ দলের মুখপত্রে বিনা অনুমতিতে লেখা যে মেনে নেওয়া হবে না তখনই স্পষ্ট করে দেয় সিপিএম রাজ্য় নেতৃত্ব। অধ্যপকদের জন্য নির্দিষ্ট এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকেও অজন্তাকে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়।

তবে, অজন্তা যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তাতে সন্তুষ্ট হয়নি এরিয়া কমিটি। টানা কয়েকদিন নিজের অবস্থানে অনড় থাকার পর অজন্তা জানিয়েছিলেন, তিনি এই ঘটনার জন্য দুঃখিত। তাঁর এই লেখায় কেউ যদি দুঃখ পেয়ে থাকে তা হলে তার জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তিনি সতর্ক থাকবেন। ঘটনায়, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছিলেন, অজন্তা ইউনিটের সদস্য। যা পদক্ষেপ করার ইউনিট আগে করবে। সিপিএমের কোনও এরিয়া কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রথমে তাঁকে শো-কজ করা হয়। পরে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ওই এরিয়া কমিটিই। পরে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য় তা জানানো হয় জেলা কমিটিকে।  সেই মোতাবেকই প্রথমে অনিল কন্যাকে শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু, তার জবাবে ‘খুশি’ না হয়নি এরিয়া কমিটি। অজন্তা পরে সুর নরম করায় ‘শাস্তি’ হিসেবে তাঁকে নিলম্বিত করার পথেই হাঁটছে বাম নেতৃত্ব। আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল করলে হাত কেটে ফেলা হবে’, ফের হুমকি পোস্টারে মাও-আতঙ্ক পুরুলিয়ায়