
৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। গীতা থেকে মহাভারতের কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে চড়ালেন সুর। ফের মনে করে করালেন শ্রীকৃষ্ণ-অর্জুনের সমীকরণের কথা। কীভাবে মহাভারতের সেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ কৃষ্ণকে সঠিক পথ দেখিয়েছিলেন সেই গল্পও শোনালেন। বললেন, “শ্রীকৃষ্ণ বারবার অর্জুনকে বলেছিলেন কর্ম করে যাও অর্জুন। আর আজ বাংলা কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”
তোপের পর তোপ দাগতে দেখা গেল সুকান্ত মজুমদারকে। ফের টেনে আনলেন বাবরি মসজিদের প্রসঙ্গ। অন্যদিকে গীতাপাঠ সম্পর্কে বললেন, “নির্বাচনের সঙ্গে গীতাপাঠের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। গীতাপাঠ হিন্দুদের অনুষ্ঠন। রাজনীতি রাজনীতির মতো থাকবে, গীতা তো শ্বাশ্বত। আমরা গতকাল যা দেখেছি তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে হিন্দু ভোটকে ভাগ করা এবং মুসলিম ভোটকে এক করার চক্রান্ত চলছে।”
ব্রিগেডে গীতাপাঠের আয়োজন সনাতন সংস্কৃতি পর্ষদের। ব্রিগেডে হাজার হাজার ভক্তদের ভিড়। বেদ পাঠের পর চলছে গীতা আরতি। ঢাক, খোল, করতাল নিয়ে নাচ সনাতনীদের। উলু, শাঁখের আওয়াজে মুখরিত ব্রিগেড। অনুষ্ঠানের সভাুপতিত্বে জ্ঞানানন্দজি মহারাজ।
ব্রিগেডমুখী সনাতনীদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে পূর্ব রেল। শিয়ালদহ ও হাওড়া শাখায় চলছে বিশেষ ট্রেন। কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, বনগাঁ, হাসনাবাদ থেকে চলছে বিশেষ ট্রেন। লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার ও ক্যানিং থেকেও চলছে বিশেষ ট্রেন।
মঞ্চের নিচে সোফায় বসবেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্যরা। তারপরে চেয়ার থাকবে লাল রড আয়রনের। সেখানেও ভিআইপিরা থাকবেন।
প্রধান আয়োজক স্বামী প্রদীপ্তানন্দ (কার্তিক) মহারাজ। তাঁর সঙ্গেই মঞ্চে থাকার কথা নির্গুনানন্দ ব্রহ্মচারী, বন্ধুগৌরব দাস মহারাজেরও। বিভিন্ন রাজ্য তথা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সাধুসন্তরা থাকবেন মূল মঞ্চে। আর দুটি মঞ্চে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের সাধুসন্তরা।
সভাপতিত্ব করার কথা গীতা মনীষী মহামণ্ডলের স্বামী জ্ঞানানন্দ জি মহারাজের। প্রধান অতিথি হিসাবে থাকার কথা সাধ্বী ঋতম্ভরা। সম্মানীয় অতিথি হিসাবে থাকছেন বাবা রামদেব।বিশেষ অতিথি বাগেশ্বরধামের পীঠ অধীশ্বর বা ধাম সরকারের ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী।
গীতার প্রথম, নবম আর অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠ করা হবে। গীতাকে মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করা হবে। আরতি করা হবে। সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত গীতা পাঠ। তারপরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষণ বা প্রবচন।
কলকাতা: ভোটমুখী বাংলায় ফের ৫ লক্ষে কণ্ঠে গীতাপাঠ। ভোর থেকেই ভক্তদের ভিড় বাড়ছে ব্রিগেডে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। মাঠ জুড়ে ২৫ টি গেট নির্মাণ করা হয়েছে। করা হয়েছে তিনটি মঞ্চ, মূল মঞ্চের পাশে থাকছে আরও দুই মঞ্চ। সামনের একটি মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন।