DA: বাম সরকারের জন্যই ডিএ দিতেই হবে তৃণমূল সরকারকে! কেন, বুঝিয়ে দিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি
DA: এদিনের নির্দেশের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত জানান, নিয়ম অনুযায়ী, মাইনে সংক্রান্ত কিংবা ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে পে কমিশন রাজ্য সরকারকে কোনও পরামর্শ দিতে পারে। কিন্তু সেটার গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের ওপর।

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট পেরিয়ে ডিএ মামলার জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, অন্ততপক্ষে ২৫ শতাংশ ডিএ দিতেই হবে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু রাজ্য সরকার কি বাধ্য ডিএ দেতে? দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলায় সে প্রশ্নও আদালতে তুলেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে বাধ্য। আর তার কারণ বাংলার তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ২০১৮ সালে সিনিয়র বিচারপতি হিসাবে দেবাশিস কর গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রায় দিয়েছিল। তিনি নির্দেশ স্পষ্ট করে দিলেন, রাজ্য সরকারকে দিতেই হবে ডিএ।
এদিনের নির্দেশের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত জানান, নিয়ম অনুযায়ী, মাইনে সংক্রান্ত কিংবা ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে পে কমিশন রাজ্য সরকারকে কোনও পরামর্শ দিতে পারে। কিন্তু সেটার গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের ওপর। অর্থাৎ রাজ্য সেই পরামর্শ গ্রহণ করবে কিনা। সেই সময়ে মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, ২০০৯ সালের একটি নোটিফিকেশন ছিল, পে কমিশনের পরামর্শ গ্রহণ করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। ফলে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে বাধ্য থাকবে রাজ্য সরকার। তাই কোনভাবেই এখন ওই জায়গা থেকে সরে আসতে পারবে না রাজ্য প্রশাসন।
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কথায়, ” এটা সুপ্রিম কোর্টের একটা অন্তবর্তীকালীন নির্দেশ। এই নির্দেশে যে টাকা দিতে বলা হয়েছে, সেটা নির্ভর করবে চূড়ান্ত ফলাফলের ওপরে। এই আদেশ যদি রাজ্য অমান্য করে, তাহলে সেটা আদালত অবমাননা হবে। সেক্ষেত্রে যে আধিকারিকরা রয়েছেন, তাঁদের জেল হতে পারে, জরিমানা হতে পারে।” অর্থাৎ আদালতের নির্দেশ যদি অমান্য করা হয় তাহলে রাজ্য, অর্থ দপ্তরের শীর্ষকর্তা অর্থাৎ অর্থ সচিবদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এটাও স্পষ্ট করে দেন, এটা সর্বোচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ রয়েছে। এর পরবর্তীতে আর কোনও অ্যাপিল করা যায় না। এই মামলাতেই আবেদন জানাতে পারে, তবে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে কিনা, তা আদালতের ওপর নির্ভর করবে।





