Madan Mitra’s daughter-in-law: শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, ‘শেষ দেখে নেওয়া’র হুমকি! মদন মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পুত্রবধূ স্বাতী
Madan Mitra's daughter-in-law: বছর দুয়েক আগে বাড়ি ছেড়ে চলে যান মদন মিত্রের পুত্রবধূ। স্বাতী রায়ের দাবি, তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিধায়কের পরিবারের তরফে।
কলকাতা : দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। বাধ্য হয়েছেন বাড়ি ছাড়তে। বাবা-ছেলে মিলে অত্যাচার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিধায়ক মদন মিত্রের পুত্রবধূ স্বাতী রায়। মদন মিত্র ও তাঁর বড় ছেলে স্বরূপ মিত্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন স্বাতী। প্রাণে বাঁচতে তিনি কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বলেও TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে সব তথ্য-প্রমাণ ফাঁস করবেন বলেও উল্লেখ করেছেন স্বাতী। যদিও বিধায়কের দাবি, এ ব্যাপারে তেমন কিছু জানেন না তিনি। তবে, বছর দুয়েক আগে যে স্বাতী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন, সে কথা স্বীকার করেছেন মদন মিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক অভিযোগ স্বাতীর
স্বাতী রায় তাঁর নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে তাঁর অভিযোগ, বিয়ের কয়েক মাস পরই স্বামীর আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামী তথা মদন মিত্রের ছেলে স্বরূপ মানসিকভাবে অসুস্থ। মুঠো মুঠো ঘুমের ওষুধ খান ও মদ্যপান করেন বলে দাবি স্বাতীর। পাশাপাশি তিনি এও জানান, তাঁকে দিনের পর দিন মারধর করতেন তাঁর স্বামী। প্রথমটায় শ্বশুর-শাশুড়ি বাধা দিলেও কোনও লাভ হয়নি।
তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মদনের পরিবারের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাতী। শেষ দেখে নেওয়া হবে বলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। তিনি এই নির্যাতনের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন ওই ভিডিয়োতে। তিনি দাবি করেছেন, প্রাণের ভয়ে শহর ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে তাঁকে।
ফাঁস বিস্ফোরক অডিয়ো ক্লিপ
TV9 বাংলার হাতে এসেছে এক বিস্ফোরক অডিয়ো ক্লিপ। সেখানে শোনা যাচ্ছে মদন মিত্র ও তাঁর পুত্রবধূর টেলিফোনিক কথোপকথন। রীতিমতো উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে সেই অডিয়ো ক্লিপে। যেখানে স্বাতী দাবি করছেন, তিনি গত কয়েক মাস ধরে কোনও টাকা নেন না স্বরূপের কাছ থেকে। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ বিধায়ক। তিনি বারবার বলছেন, ‘তোমার সঙ্গে কথা বলার কোনও ইচ্ছা নেই। তুমি কে হরিদাস?’ আইনি পথে যাওয়ার কথাও বলতে শোনা যাচ্ছে মদন মিত্রকে। তবে, ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
কী বলছেন মদন মিত্র?
এ বিষয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু জানি ও বছর দুয়েক আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে।’ তাঁর দাবি, কয়েকদিন আগেও তাঁর দক্ষিণেশ্বরের বাড়ির ছাদে নিজের ছেলের সঙ্গে খেলছিলেন স্বাতী। হঠাৎ কী হল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। বিধায়ক বলেন, ‘একটু খবর নিয়ে বলতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিবাহ সংক্রান্ত ব্যাপারে স্বামী ও স্ত্রীই সবথেকে ভালো উত্তর দিতে পারে। সবটা জানা সম্ভব নয়। তবে খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’ সব শেষে তিনি বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থার ওপরে কেউ নয়।’
অভিযোগ কি সত্যি?
মদনের জবাব, ‘আমার মতো একজন ভদ্রলোক যদি কু কথা বলে থাকে, তাহলে কু কথা বলার মতো প্রসঙ্গ তৈরি হয়েছিল।’ থানায় মামলা হল না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মদন। ছেলের ঘুমের ওষুধ খাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, মদন বলেন, ‘বিশ্বের সব বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ, যাঁরা বেশি মাথা খাটান, তাঁদের ঘুমের ওষুধ খেতে হয়। আমি নিজেও খাই। ছেলের কথা বলতে পারব না।’ স্বাতীর দাবি, তাঁর ছেলের সঙ্গে আড়াই বছর দেখা হয়নি। এ কথা শুনে মদন মিত্র জানান, দু দিন আগেই ছেলের সঙ্গে খেলাধূলা করেছেন স্বাতী।
আরও পড়ুন : TMC Clash: ‘প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিতর্ক তৈরি করা যাবে না’, সকল তৃণমূল সাংসদদের সতর্কবার্তা