কলকাতা: ৩ থেকে ৭৭! গ্রাফচিত্রের এই ঊর্ধ্বমুখী পথ পেরোতে অনেক কসরত করতে হয়েছে বিজেপি। এর পিছনে রয়েছে প্রচুর অধ্যাবশায়। তখন বিজেপির বঙ্গ সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এখন তিনি কেবলই নেতা। এখন বিজেপি-র গতি কিছুটা শ্লথ! বলা যেতে একটা স্ট্যাটিক পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বছর পেরোলেই আবারও বড় নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে বিজেপিতে চলছে সদস্যতা সংগ্রহ। বাইরে থেকে নতুন নেতা আসছেন, তাঁদের নেতৃত্ব বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ-সাংগঠনিক উত্থানের গ্রাফচিত্রকে কতটা সামনের দিকে এগোচ্ছে, বাইরে থেকে এসে কতটা তাঁরা মানিয়ে নিতে পারছেন দলের আদর্শ, তা নিয়ে মুখ খুলেন দিলীপ।
TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “পার্টিতে পরিবর্তন হয়, নতুন লোকেরা আসেন, তাঁরা কাজকর্ম করেন। আমরা সবাই চাই, পার্টি বাড়ুক, এগোক, লক্ষ্যে পৌঁছক। সেটাই হিসাব হয়। পার্টির বর্তমান নেতৃত্ব যেটা ঠিক মনে হচ্ছে করছেন, আমরা সহযোগিতা করার জন্য রয়েছি। হয়তো আশানুরূপ রেজাল্ট আসে না।”
৩ থেকে ৭৭ হওয়ার পথটা যে খুব একটা সহজ ছিল না, সেকথাও বলেন দিলীপ। বলেন, “কোন পার্টি কোন রাজ্যে এই রেজাল্ট করতে পেরেছে। আমাদের অ্যাচিভমেন্ট এটাই, যে কোথায় ছিলাম, কতদূর এসেছি।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি তৎকালীন উত্থান সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু ওই যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো বাংলায় এসে লক্ষ্যমাত্রা ২০০ বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু ২০০ তো দূরস্থ, ৭৭ থেকে নেমে বিজেপি ১৮, তারপর ১২! তাহলে …
দিলীপ বললেন, “হ্যাঁ টার্গেট সব সময় বড় রাখতে হয়। আমি গল্প শুনেছিলাম, একজনের একটা রিভলবার দরকার ছিল, সে কামান অর্ডার দিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সে বলেছিল, আমার রিভলবারই দরকার, কিন্তু আমি যদি আপনাকে রিভলবার চাই, আপনি না করে দেবেন। কামান চেয়েছি, তাতে অন্ততপক্ষে রিভলবার পিস্তল পর্যন্ত নামবেন। আমরাও বড় লক্ষ্য রেখেছি।” নিজের সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, “বড় লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে পার্টিকে বড় করেছি আমরা।”
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এখনকার নেতারা কী তবে দলকে বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন না? তাঁদের জন্য কি টার্গেট কম? কামান কেনার স্বপ্ন কি এখন দেখছে না দল? দিলীপের সাফ উত্তর “পার্টির মধ্যে বড় লোক আসবে, জায়গা নেওয়া নিয়ে ঠেলাঠেলি হবে, আবার অ্যাডজাস্টও হয়ে যাবে। কিন্তু দল এগোবে।”