AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dilip Ghosh: ‘অনেক অধ্যাবসায়ে তৈরি করেছি আমরা, আদৌ কি বাংলা সেমি বুলেট ট্রেনের জন্য প্রস্তুত?’ মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের

Dilip Ghosh: উত্তরে দিলীপ বলেন, "দেশীয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অধ্যাবসায় দিয়ে আমরা এই সেমি বুলেট ট্রেন তৈরি করেছি। এ রাজ্যের মানুষ কি সেটা নেওয়ার জন্য তৈরি? কী তাদের মানসিকতা?"

Dilip Ghosh:  'অনেক অধ্যাবসায়ে তৈরি করেছি আমরা, আদৌ কি বাংলা সেমি বুলেট ট্রেনের জন্য প্রস্তুত?'  মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের
বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, দিলীপ ঘোষ (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2023 | 10:17 AM
Share

কলকাতা: গত দুদিনে দু’বার। বন্দে ভারতের ওপর হল পাথর-হামলা। মঙ্গলবার হাওড়া (Howrah) থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (New Jalpaiguri) যাওয়ার পথে হামলা হয়। হামলার জেরে  ভেঙে যায় সি৩, সি৬ কোচের জানালার কাচ। এবার সে প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিক প্রশ্নে এই বিষয়টি উঠে আসে। বাংলা কি আদৌ সেমি বুলেট ট্রেন পাওয়ার যোগ্য? উত্তরে দিলীপ বলেন, “দেশীয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অধ্যাবসায় দিয়ে আমরা এই সেমি বুলেট ট্রেন তৈরি করেছি। এ রাজ্যের মানুষ কি সেটা নেওয়ার জন্য তৈরি? কী তাদের মানসিকতা?” দিলীপ ঘোষের সংযোজন, “এই মানসিকতা নিয়ে আমরা কি বাকি দেশ, বাকি দুনিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারব? যাঁরা করছেন, তাঁদের কিছু লোক উৎসাহ দিচ্ছে। আমাদের রাজ্যকে বদনাম করছে। রাজ্যের উচিৎ ব্যবস্থা নেওয়া।”

প্রসঙ্গত, নতুন বছরের শুরুতেই যাত্রা শুরু করেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সোমবার মালদহের সামসির কুমারগঞ্জের কাছে ট্রেনটি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।  তারপরের দিনই নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে আবারও হামলা হয়। দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন, “বন্দে ভারত এক্সেপ্রেসে লাগাতার হামলার ঘটনায় তৃণমূল সরকারের ইন্ধন নেই তো?”

বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় জোর রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধিরই কথা বলেছেন। কারণ ঘটনাচক্রে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধনের দিন হাওড়া স্টেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে ওঠার ঠিক আগের মুহূর্তেই দর্শকের আসনে বসে থাকা একাংশ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলেছিলেন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে না উঠে বাম দিকের আসনেই বসে ছিলেন। দৃশ্যত তাঁকে ক্ষুব্ধ দেখিয়েছিল সেদিন। এরপর ট্রেনটি যেদিন যাত্রা শুরু করল, তার ঠিক এক দিনের মাথায় পাথর হামলার ঘটনা ঘটল। এটাকে ‘প্রতিশোধ’ হিসাবেই মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রেল মন্ত্রক, এনআইএ, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ট্যাগ করে টুইট করে ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন।

শুভেন্দু নিজের টুইট বার্তায় লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক এবং অসুস্থ। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়েছে। উদ্বোধনের দিনে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের প্রতিশোধেই কি এই কাজ? আমি প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং রেল মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এনআইএ-কে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় এবং দোষীদের কড়া সাজা দেওয়া হয়।’

বিষয়টির তীব্র নিন্দা করে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, এই দ্রুতগতির ট্রেনটি দেশের গর্বের। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় এখন পরিষেবা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। আর এটা হচ্ছে বাংলাতে। যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য,  “মালদা, তার আগে জলপাইগুড়ি, তার আগে উত্তরপ্রদেশ, তার আগে গুজরাট। বন্দে ভারতের উপর যা হচ্ছে তা অন্যায়। কারণ রেল জাতীয় সম্পদ। জাতীয় সম্পদ যারা নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত। আর বিজেপি তো শকুনের রাজনীতি করছে। যা ঘটেছে তা অন্যায়, কিন্তু তার থেকেও বড় অন্যায় এটা নিয়ে রাজনীতি করা।”