ED Raid: ‘মনরেগা’য় দুর্নীতি কি জানত রাজ্য? টিভিনাইন বাংলার হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
MGNREGA: ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি এফআইআর করেন বিরূপাক্ষ মিত্র। সে সময় তিনি ছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের সহসচিব (ডেপুটি সেক্রেটারি)। চারজনের নাম ছিল সেখানে। সেই চারজনের মধ্যে আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইডি হানা দেয় একজনের বাড়িতে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা তিনি। পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কর্মী রথীন্দ্রকুমার দে তাঁর নাম।
কলকাতা: রেশন দুর্নীতির মতো ‘মনরেগা’ (MGNREGA) দুর্নীতি সম্পর্কেও রাজ্য সরকার যে আগে থেকেই অবগত ছিল, তার প্রমাণ টিভিনাইন বাংলার হাতে। যে ৫টি এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি ইসিআইআর করেছে, তারমধ্যে একটি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর।
২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি এফআইআর করেন বিরূপাক্ষ মিত্র। সে সময় তিনি ছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের সহসচিব (ডেপুটি সেক্রেটারি)। চারজনের নাম ছিল সেখানে। সেই চারজনের মধ্যে আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইডি হানা দেয় একজনের বাড়িতে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা তিনি। পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কর্মী রথীন্দ্রকুমার দে তাঁর নাম।
এছাড়াও এফআইআরে নাম ছিল ওয়াফিকুর রহমান, ইতি চট্টোপাধ্যায়, মমতাজ বেগমের। মমতাজ বেগম বেলডাঙা থানা এলাকার সুজাপুর বেগমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। এই মামলায় তদন্ত করে ২০২৩-এর ১৯ জুন বেলডাঙা থানা একটি চার্জশিটও জমা দেয়। অর্থাৎ মনরেগা দুর্নীতিতে পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন আধিকারিক এবং ঠিকাদার যোগ রয়েছে, তেমনটাই ইডি মনে করছে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়। বেলডাঙায় আরও একটি এফআইআর হয়েছে। হুগলির ধনেখালিতে হয়েছে একটি।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, পঞ্চায়েত দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি অভিযোগ করেছেন, পঞ্চায়েতের টাকা নয়ছয় হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে চার্জশিটও হয়েছে বটে, তবে এই ঘটনার যে ব্যাপ্তি বিশাল, সেটা কিন্তু আড়ালেই থেকেছে। অনেকেই মনে করছেন, অন্য়ান্য মামলার মতোই এবার এই ঘটনাতেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও তথ্য সামনে আসবে। রেশন দুর্নীতির ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল, নিউমার্কেট থানায় খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি এফআইআর করে দায় সারা হয়। ঠিক তেমনই এখানেও কি একটা এফআইআর, একটা চার্জশিট জমা করেই দায়মুক্ত হতে চেয়েছে দফতর, উঠছে প্রশ্ন।