ED: কীসের ভিত্তিতে আজাদের ভিসা? বিদেশমন্ত্রকের কাছে তথ্য তলব ED-র
ED: তদন্তকারীদের বক্তব্য, নথি ঠিকমতো যাচাই করা হলে, আজাদ যে পাকিস্তানি, তা আগেই সামনে চলে আসত। ভারতে প্রবেশ করতেই পারতেন না। আজাদকে তদন্তকারীরা একজন গুপ্তচর হিসাবেও মনে করছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভারতে আসাটা দেশের পক্ষেও উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

কলকাতা: পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিকের ভারতীয় ভিসার তথ্য চেয়ে এবার বিদেশমন্ত্রকের দ্বারস্থ ইডি। বছর ছয়েক থেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা পেয়েছিল পাকিস্তানি আজাদ। তদন্তে এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। আজাদের নাম ছিল আজাদ হোসেন। তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছে, ২০১৬ সালের পরবর্তীকালে আজাদ মল্লিক পদবী নিয়ে ভারতে আসেন। কিন্তু কী করে তিনি ভিসা পেলেন? কী কী নথি দিয়ে তিনি ভিসা পেয়েছিলেন? তাঁর আবেদনপত্র ঠিকমতো যাচাই হয়েছিল কিনা, কারা যাচাই করেছিলেন, সেই সব তথ্যই বিদেশমন্ত্রকের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে ইডি।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, নথি ঠিকমতো যাচাই করা হলে, আজাদ যে পাকিস্তানি, তা আগেই সামনে চলে আসত। ভারতে প্রবেশ করতেই পারতেন না। আজাদকে তদন্তকারীরা একজন গুপ্তচর হিসাবেও মনে করছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভারতে আসাটা দেশের পক্ষেও উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
আগেই আজাদের মোবাইল থেকে পাকিস্তানে নাগরিকদের সঙ্গে কথোপকথনের তথ্য পেয়েছে ইডি। আজাদের দুটি মোবাইল থেকে উদ্ধার ২০ হাজার পাতার নথি। পাসপোর্ট বানানোর প্রচুর ছবি। প্রচুর ভয়েস রেকর্ড উদ্ধার। কার সাথে কী কথা হয়েছে, সেগুলো ইতিমধ্যেই ডিকোড করছে ইডি।
ISD নম্বরের সূত্র ধরে জানা যাচ্ছে, আজাদ পাকিস্তানে যোগাযোগ রাখতো। আজাদের মোবাইল থেকে মিলেছে ২০ হাজারের বেশি হোয়াটসঅ্যাপ কনট্যাক্ট।

