Fake Call Center: টানা আট ঘণ্টার ‘শিফটিং আওয়ার্স’, এক্কেবারে কর্পোরেট হাউজ! সেখান থেকেই গ্রেফতার ১৪
Fake Call Center: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে খবর আসছিল নিউটাউনে আস্থা টাওয়ারে অফিস খুলে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার টাওয়ার বসিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ঘটনা। একাধিক অভিযোগও দায়ের হয়েছিল সাইবার ক্রাইম থানায়।
কলকাতা: ফের নিউটাউনে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ। নিউটাউনের আস্থা টাওয়ারে হানা বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের। গ্রেফতার ১৪ জন। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা রয়েছে। সকলকে তোলা হল বিধান নগর আদালতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে খবর আসছিল নিউটাউনে আস্থা টাওয়ারে অফিস খুলে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার টাওয়ার বসিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ঘটনা। একাধিক অভিযোগও দায়ের হয়েছিল সাইবার ক্রাইম থানায়। সেই ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বুধবার নিউটাউনের আস্থা টাওয়ারের দুটি অফিসে হানা দেয় বিধান নগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ। ৯ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা সহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, মোবাইল ফোন-সহ একাধিক নথিপত্র।
ধৃত সকলকে বৃহস্পতিবার বিধান নগর আদালতে পেশ করা হয় এবং সংস্থার কয়েকজন উচ্চপদস্থদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানাবে পুলিশ এবং খতিয়ে দেখবে কতজনের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে বা আর কেউ যুক্ত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরপর ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলছে কলকাতায়। এর আগে তারাতলা থেকে ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সাতজনকে। মাস খানেক আগে ওই এলাকায় এক বহুতলে অভিযান চালায়। ওয়েবেল আইটি পার্কের সেই বহুতলের তিন তলার একটি ঘরে হানা দিয়ে রীতিমতো চমকে যান পুলিশের দুঁদে কর্তারা। শহরের বুকে একেবারে সাজিয়ে খোলা হয়েছিল ভুয়ো কলসেন্টার। সাজানো ছিল একাধিক কম্পিউটার, উচ্চমানের গ্যাজেসট। একাধিক টেলিফোন ছিল। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আরও তথ্য বেরিয়ে আসে। পুলিশ জানতে পারে এলাকায় আরও একটি কল সেন্টার রমরমিয়ে চলছে। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই হানা দেয় পুলিশ।
কিছুদিন আগেই বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ সেক্টর ফাইভে দুটি ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায়। সেখানে চলে রাতভর তল্লাশি। দশ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ বেশ কিছু ডিভাইস ও নগদ টাকা। নিউটাউনের একটি কল সেন্টারে হানা দিয়েও ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিউটাউন ‘গ্রিন উড এক্সটেনশন’ বিল্ডিংয়ে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই চলছিল প্রতারণা চক্র। ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা কমলেশ কুমার আর্য-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। পার্কস্ট্রিটে এ ভাবেই ভুয়ো কল সেন্টার চালানো হচ্ছিল। একটি বিশ্বখ্যাত সংস্থার নাম করে কল সেন্টার খুলেছিলেন ধৃতরা। সেখান থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বিমল গুরুং? পাহাড়ের রাজনীতিতে অন্য এক সমান্তরাল সমীকরণ