National SC Commission: অপহৃত মেয়েকে উদ্ধারের পর মেডিকেল না করাতে চাপ পুলিশের, জাতীয় SC কমিশনের দ্বারস্থ পরিবার
Kidnapping case: ওই ছাত্রীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে মেয়ের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মেয়ের মেডিকেল পরীক্ষা না করানোর জন্য চাপ দিচ্ছে পুলিশ।
কলকাতা : সঠিক বিচারের আশায় এবার জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের দ্বারস্থ একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর পরিবার। হাওড়ার পাঁচলা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে স্কুল যাওয়ার পথ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে ৩০ মার্চ। পরিবারের অভিযোগ, আমতার চন্দ্রপুরের বাসিন্দা শেখ তৌহিদের বিরুদ্ধে। পাঁচলার ওই ঘটনাতেও পুলিশের বিরুদ্ধে চাপ তৈরির অভিযোগ। নিখোঁজ ওই মেয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের বক্তব্য, প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সেখানে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়। পরবর্তীতে অভিযোগ দায়ের হয় এবং মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু তারপরেও ওই ছাত্রীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে মেয়ের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মেয়ের মেডিকেল পরীক্ষা না করানোর জন্য চাপ দিচ্ছে পুলিশ।
এমনকী ২৫ এপ্রিল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দী দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেও পুলিশের কথা মতো বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এদিকে পরিবারের উপরেও চাপ আসতে থাকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ জানিয়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার। পরিবারের বক্তব্য, তারা তফশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত বলেই এমন দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে এই সবের মাঝে পেয়ে পাঁচলার ওই একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এখনও হোমেই রয়ে গিয়েছে। তাঁকে এখনও পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে থানার থেকে কোনওরকম সহযোগিতা না পেয়ে পরিবার এবার দ্বারস্থ হয়েছেন জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের দপ্তরে।
এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি তফশিলি মোর্চার সভাপতি সুদীপ দাস জানিয়েছেন, “এটি একটি বরফের চূড়ামাত্র। এই অভিযোগ প্রতিনিয়ত ঘটছে গ্রাম বাংলায়। প্রতিনিয়ত লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটছে। শেখ তৌহিদ নামে ওই ছেলে তফশিলি সম্প্রদায়ের এক নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই এলাকাতেই মেয়েটিকে রাখা ছিল। দিনের পর দিন পুলিশ প্রশাসন, তৃণমূলের নেতা এবং পঞ্চায়েত সদস্য বিষয়টি প্রহসনে পরিণত করেন এবং মেয়েটির বাবাকে মিথ্যা আশ্বাস দেন। আমরা যখন আন্দোলন করি, থানা ঘেরাও করি, তখন মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মেয়েটির এখনও পর্যন্ত মেডিকেল করানো হয়নি। হাওড়া পাঁচলা থানার পুলিশ বার বার চাপ দিচ্ছে মেয়েটির উপর যাতে মেডিকেল করানো না হয়।”
জাতীয় তফশিল কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারও জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ” আমি রাজ্য সরকারের ডিজিপির কাছে নোটিস পাঠাব, জানতে চাইব ঘটনার বিস্তারিত তথ্য। তারপর আমরা পদক্ষেপ করব।”
আরও পড়ুন : Heat Wave: প্রয়োজনে জল সরবরাহের সময় বাড়নো হোক, তীব্র তাপপ্রবাহে জেলাগুলিকে নির্দেশ রাজ্যের