Heat Wave: প্রয়োজনে জল সরবরাহের সময় বাড়ানো হোক, তীব্র তাপপ্রবাহে জেলাগুলিকে নির্দেশ রাজ্যের
Water Supply: প্রয়োজনে জল সরবরাহের সময় বাড়ানো যেতে পারে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। এর পাশাপাশি স্কুলগুলিতেও জল দেওয়ার সময়সীমায় পরিবর্তন করা যেতে পারে। বিশেষ করে যে স্কুলগুলি সকালে চলে, সেখানে জল দেওয়ার সময়সীমা পরিবর্তন করা যেতে পারে তাপ প্রবাহের জন্য।
কলকাতা : তাপপ্রবাহের জের। এবার জেলাগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিল রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। তাপপ্রবাহ এবং সেই সঙ্গে চাঁদিফাটা রোদ্দুর আর ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি পেতে জলের চাহিদা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে জল সরবরাহের সময় বাড়ানো যেতে পারে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। এর পাশাপাশি স্কুলগুলিতেও জল দেওয়ার সময়সীমায় পরিবর্তন করা যেতে পারে। বিশেষ করে যে স্কুলগুলি সকালে চলে, সেখানে জল দেওয়ার সময়সীমা পরিবর্তন করা যেতে পারে তাপ প্রবাহের জন্য। বলা হয়েছে, জলের ট্যাঙ্কগুলিকে প্রস্তুত রাখতে হবে। যেসব জায়গায় জলের ঘাটতি হবে, সেখানে যাতে দ্রুত জল পাঠানো যায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
যে অঞ্চলগুলিতে জলের অভাব তৈরি হবে সেখানকার আধিকারিকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর পাশাপাশি ডায়রিয়া আটকাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্লোরিন যাতে মজুত থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে স্কুল, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনও খামতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য জনসাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি কৃষি দফতর থেকেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। অতিরিক্ত তাপ ও প্রবাহের জন্য কৃষকদের জন্য একাধিক গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য সরকার। এই গরমের জলের অভাব হলে কৃষকদের কী কী করণীয় তা নিয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এই গাইডলাইন মাইকে মাইকে লিফলেট বিলি করে করে কৃষকদের উদ্দেশে প্রচার করার জন্য জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কৃষি দফতর।
রাজ্যের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে বিশেষভাবে সতর্ক করে দিয়েছে নবান্ন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এই তাপপ্রবাহ কী করণীয়। তা নিয়ে বিশেষ লিফলেটও তৈরি করেছে নবান্ন। সেই লিফলেট ব্যাপক আকারে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। এই গরমে একাধিক জায়গায় আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে। তার জন্য প্রয়োজনীয় নজরদারি করতে হবে আধিকারিকদের।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকেও আপাতত মন ভাল করার কোনও খবর নেই। হাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, অস্বস্তিকর গরম থেকে আপাতত মুক্তি নেই দক্ষিণবঙ্গের। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে দক্ষিণের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের এক কর্তা।
আরও পড়ুন : Kunal Ghosh: ‘জলকামানে স্নান করতে গিয়েছিলেন’, সুকান্তকে খোঁচা কুণালের