Firhad Hakim: ‘চিরকুটে কোনওদিন লোক ঢোকানো যায় না’, ব্রাত্য-কুণালদের উল্টো সুর ফিরহাদের গলায়

Recruitment Scam: রাজ্যের শাসক দলের নেতারা যখন 'চিরকুটে চাকরির' তত্ত্ব খাঁড়া করতে ব্যস্ত, তখন মমতার ক্যাবিনেটের হেভিওয়েট মন্ত্রীর গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর।

Firhad Hakim: 'চিরকুটে কোনওদিন লোক ঢোকানো যায় না', ব্রাত্য-কুণালদের উল্টো সুর ফিরহাদের গলায়
কী বলছেন ফিরহাদ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2023 | 3:48 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে শাসক দলের। ছোট-বড়-মাঝারি একের পর এক নেতার নাম জড়াচ্ছে। দুর্নীতিতে নাম জড়াতেই কড়া পদক্ষেপ করছে শাসক শিবিরও। কিন্তু বিরোধীদের খোঁচা থামছে না। এমন অবস্থায় নতুন স্টান্স নিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। শুরু হয়েছে প্রতি আক্রমণে পালা। বোঝানোর চেষ্টা চলছে, নিয়োগ দুর্নীতি শুধু তৃণমূলের আমলেই নয়, বাম আমলেও হয়েছে। সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি কীভাবে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ, পার্থ ভৌমিকরা। উঠছে চিরকুটে চাকরির তত্ত্ব। এদিন রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী উদয়ন গুহও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আক্রমণ শানিয়েছেন বামেদের। রাজ্যের শাসক দলের নেতারা যখন ‘চিরকুটে চাকরির’ তত্ত্ব খাঁড়া করতে ব্যস্ত, তখন মমতার ক্যাবিনেটের হেভিওয়েট মন্ত্রীর গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর। ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, চিরকুটে কোনওদিন কাউকে চাকরি দেওয়া যায় না।

উদয়ন গুহর মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন কলকাতা পুরনিগমের সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদকে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার জানা নেই, ও কী পাগলের মতো বকেছে। এটা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। কারণ, চিরকুটে কোনওদিন লোক ঢোকানো যায় না। অন্তত একটা অ্যাপ্লিকেশন লাগে। আগে যখন সার্ভিস কমিশন ছিল না, বা নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ম ছিল না, তখনও আমাদের স্কুলগুলিতে দেখেছি… গভর্নিং বডি বসে শিক্ষক বাছাই করত। প্রধান শিক্ষিকা একটি প্যানেল তৈরি করতেন তিনজনের। সেটি সত্তরের দশকে দেখা যেত।’ অর্থাৎ, এর আগে তৃণমূল শিবিরের থেকে যে ধরনের আক্রমণ ধেয়ে এসেছে চিরকুটে চাকরির তত্ত্বে, এবার তার থেকে সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে ভিন্ন সুর শোনা গেল মন্ত্রী ফিরহাদের গলায়।

প্রসঙ্গত, বামেরা কয়েকদিন থেকেই দাবি করে আসছিল সত্তরের দশকে এই কাগজ পাঠিয়ে চাকরি হত। সেটা বাম আমলে হত না। আজ ঠিক সেই কথাই শোনা গেল রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীর গলায়। ফিরহাদ হাকিম সেই কথাই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, সত্তরের দশকের আগে কাগজ বা চিরকুট দিয়ে কাজ হত। যেদিন থেকে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড তৈরি হয়েছে, তখন থেকে এই ধরনের কাজ আর হয় না।

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই বিতর্ক শুরুর পর প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন, রাজ্য শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক বাম আমলের কার কোথায় চাকরি হয়েছে। সুজনবাবুর দাবি, শ্বেতপত্র প্রকাশ করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, ২০১১ সালের আগে নিয়োগে ছিল স্বচ্ছতা এবং ২০১১ সালের পর নিয়োগে শুধুই দুর্নীতি। সেই কারণেই রাজ্য শ্বেতপত্র প্রকাশ করছে না বলে দাবি সিপিএম নেতার। এদিন ফিরহাদ হাকিমের গলায় উল্টো সুর শোনা যাওয়ার পর সুজন বলেন, ‘আমি হাসব না কাঁদব আমি জানি না। ফিরহাদ হাকিম যা বলেছেন, তা উনি বোঝাতে পারবেন কি না জানি না। তাহলে কি চিরকুট খুঁজে খুঁজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাননি বলেই কি সাইড লাইনে কথা বলে রাখলেন? এক এক বার এক এক রকম কথা বলা হচ্ছে। তৃণমূলের সার্কিট খারাপ হয়ে গিয়েছে।