ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অবশেষে সিটের দায়িত্বে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি চেল্লুর
Post Poll Violence: বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে চারটি জোনে ভাগ করে তদন্তের কথা জানানো হয়েছে।
কলকাতা: মিলল না সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি! অগত্যা ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিটের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত মহিলা বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বাংলায় সিটের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করা হল।
বৃহস্পতিবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। ওই তদন্তকারী দলে ১০ জন দক্ষ আইপিএস আধিকারিক রয়েছেন। যারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁরা। সেই দলের চেয়ারম্যান হচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর।
তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি, কেরল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রথম মহিলা বিচারক ছিলেন। নারদা মামলার তাঁরই সময়ের।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তত্পর সিবিআই। সিবিআই ইতিমধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতারও করেছে। তবে মামলাকারীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, সিবিআই তত্পর হলেও নিস্পৃহ ছিল সিট। কেন রাজ্য পুলিশের ‘সিট’ তদন্ত শুরু করল না, সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হন মামলাকারীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সিটকেও চারটি জোনে ভাগ করল রাজ্য।
বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে চারটি জোনে ভাগ করে তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। প্রত্যেক জোনে দু’জন করে আইপিএস রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই তদন্ত করবেন তাঁরা।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, তদন্তের স্বার্থে রাজ্যকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। রয়েছে নর্থ জোন, সাউথ জোন, ওয়েস্ট জোন। এ ছাড়া সিটের সদর দফতরে থাকবেন দু’জন। কলকাতা পুলিশের দু’জন আধিকারিককেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হেড কোয়ার্টারের দায়িত্বে থাকছেন রেলের ডিআইজি সোমা দাস মিত্র, ডিসি শুভঙ্কর ভট্টাচার্য। নর্থ জোনে থাকবেন উত্তরবঙ্গের আইজিপি ডিপি সিং ও মালদা রেঞ্জের ডিআইজি প্রবীন কুমার ত্রিপাঠি। ওয়েস্ট জোনের দায়িত্বে থাকছেন পশ্চিমাঞ্চলের এডিজি সঞ্জয় সিং, বর্ধমান রেঞ্জের আইজিপি বি এল মীনা। সাউথ জোনে তদন্তের ভার থাকবে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সিদ্ধনাথ গুপ্ত ও বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। কলকাতা পুলিশের ক্ষেত্রে তদন্তে দায়িত্ব নেবেন আইপিএস তন্ময় রায় চৌধুরী ও আইপিএস নীলাঞ্জন বিশ্বাস।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৯ অগস্ট এই মামলার রায় দেয় পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তম ডিভিশন বেঞ্চ। খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করবে সিবিআই এবং অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর মামলার তদন্ত করবে সিট।
চার জোনে ক্যাম্প করে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-ও। একটি ক্যাম্প দুর্গাপুরে। সেখান থেকে মূলত বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ কয়েকটি পশ্চিমের জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। একটি ক্যাম্প উত্তরবঙ্গের জন্য। সেই ক্যাম্প কোচবিহারে হয়েছে। এ ছাড়া, বাকি দুটি ক্যাম্প চলছে কলকাতাকে কেন্দ্র করে। কলকাতা সংলগ্ন কয়েকটি জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করবে এই দুটি ক্যাম্প। আরও পড়ুন: এবার শিল্প সম্মেলনে বড় আর্থিক বেনিয়ম! রাজ্যপালের টুইটে নয়া জল্পনা