Jyotipriya Mallick: ‘যা জানি, সব বলে দিয়েছি!’ প্রাক্তন PA-র বয়ানে বিপদ বাড়ছে বালুর?

Aritra Ghosh | Edited By: Soumya Saha

Nov 09, 2023 | 3:36 PM

ED Probe in Ration Scam: মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক জানিয়ে দিলেন, মন্ত্রীর অফিসে বাকিবুর রহমানের যাতায়াত ছিল। বাকিবুরকে চিনতেন কি না প্রশ্ন করায় বললেন, "নিশ্চয়ই চিনতাম। আসতেন। মন্ত্রীর ঘর ছিল অবারিত দ্বার। মন্ত্রীর ঘরটা ছিল একটা দরবার। ওখানে কে আসত, কে যেত, সেটা রেকর্ড করার ব্যাপার ছিল না।"

Jyotipriya Mallick: যা জানি, সব বলে দিয়েছি! প্রাক্তন PA-র বয়ানে বিপদ বাড়ছে বালুর?
রেশন দুর্নীতি মামলায় বিস্ফোরক দাবি মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস। রেশন মামলায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগসাজশের বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। আর এবার মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক জানিয়ে দিলেন, মন্ত্রীর অফিসে বাকিবুর রহমানের যাতায়াত ছিল। বাকিবুরকে চিনতেন কি না প্রশ্ন করায় বললেন, “নিশ্চয়ই চিনতাম। আসতেন। মন্ত্রীর ঘর ছিল অবারিত দ্বার। মন্ত্রীর ঘরটা ছিল একটা দরবার। ওখানে কে আসত, কে যেত, সেটা রেকর্ড করার ব্যাপার ছিল না।”

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস আরও বিস্ফোরক কথা বলেন এদিন টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “আমি যা জানি, ততটুকু বলে দিয়েছে ইডিকে। যখন ওনারা তদন্ত করছেন, সব তথ্যই ওনাদের কাছে রয়েছে। এবার আমাদের সঙ্গে কথা বলে সেগুলি যাচাই করে নেন তদন্তকারী অফিসাররা। আমি যেটুকু জানি, সেটুকু বলেছি। বাকিটা তদন্তকারী অফিসাররা দেখুন।”

উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক ছিলেন তিনি। তারপর কেন হঠাৎ ছেড়ে দিলেন সেই কাজ? প্রশ্ন করায় অভিজিৎ দাস জানালেন, “যাঁরা তদন্ত করছেন, তাঁরা সেটা জানেন। তাঁরা বলতে পারবেন।” প্রশ্ন করা হয়েছিল উদ্ধার হওয়া মেরুন ডায়েরি প্রসঙ্গেও। প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎবাবুর বাড়ি থেকেই সেই ডায়েরি পাওয়া গিয়েছে। যদিও মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়কের দাবি, “সে তো অনেক পুরনো কথা। এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। যাঁরা উদ্ধার করেছেন তাঁরাই বলতে পারবেন।”

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের পরিবারের সদস্যদের একটি সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। সেই বিষয়েও তদন্তকারী অফিসাররা সব জানেন বলেই টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় বললেন অভিজিৎবাবু। বললেন, “যা বলার সব তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের কাছে বলে দিয়েছি। আমি কী জানতাম, কী জানতাম না, সেটাও এজেন্সি জানে। কে তাঁদের ডিরেক্টর নিয়োগ করেছিলেন, সেটাও তদন্তকারী অফিসাররা জানেন।”

Next Article