Fraud Case: সংবাদপত্রে নম্বর দিয়ে মায়াবী কন্ঠে ফোনালাপ, ফাঁদে ফেলতেন পুরুষদের… পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষা করাতেই পর্দাফাঁস

Fraud Case: এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জমি দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করেছেন লক্ষ লক্ষ টাকার। ঠিক একই ভাবে পুলিশ গ্রাহক সেজে জাল বিছিয়ে ওই ব্যক্তিকে ফোন করে ডাকিয়ে নিয়ে আসে।

Fraud Case: সংবাদপত্রে নম্বর দিয়ে মায়াবী কন্ঠে ফোনালাপ, ফাঁদে ফেলতেন পুরুষদের... পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষা করাতেই পর্দাফাঁস
গ্রেফতার অভিযুক্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2023 | 4:43 PM

কলকাতা: মহিলা হিসাবে সাজলে তাঁকে চেনার উপায় নেই। আর তারই সুবিধা নিতেন। প্রতারণার জাল বিছোতে কখনও ছেলের গলায়, কখনও মেয়ের গলায় ফোন করতেন। দৈনিক সংবাদ মাধ্যমে জমি ক্রয় বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ছদ্মবেশী অনিন্দ্য চক্রবর্তী। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে পূর্ব বিধান নগর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে বিধান নগর আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছর গত ৩০ এপ্রিল দৈনিক সংবাদপত্রে মধ্যমগ্রামে জমি ক্রয়ের বিজ্ঞাপন দেখে উক্ত নম্বরে ফোন করেন বারাসতের বাসিন্দা বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল। মহিলা কন্ঠে দিপালী ঘোষ  নামে পরিচয় দেন অভিযুক্ত। তিনি নিজেকে বর্ধমানের বাসিন্দা বলে দাবি করেন।

এরপরেই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তা শুরু হয়, জমিও দেখান অনিন্দ্য। বিক্রেতার পক্ষ থেকে বলা হয়, জমি ক্রয় করতে গেলে অ্যাডভান্স দিতে হবে ‘টোকেন মানি’। সেইমত ক্রেতা রাজি হয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে সল্টলেকের সিজে ব্লকে নগদ টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়। সেই মতো টাকা নেওয়ার পরে ডিডে সই করিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে উক্ত নম্বরে ফোন করার পর ফোন সুইচড অফ পান। গ্রাহক বুঝতে পারেন তাঁর সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। সেই মতো পূর্ব বিধান নগর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্তে নেমে তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানতে পারেন, শুধুমাত্র একজনের সঙ্গে নয়, বহু মানুষের সঙ্গেই অনিন্দ্য এই ভাবেই প্রতারণা করেছেন। নিজেকে কখনও সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন, আবার কখনও তিনি নিজেকে অবসর প্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক পুলিশ সুপারের মেয়ে হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন।

এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জমি দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করেছেন লক্ষ লক্ষ টাকার। ঠিক একই ভাবে পুলিশ গ্রাহক সেজে জাল বিছিয়ে ওই ব্যক্তিকে ফোন করে ডাকিয়ে নিয়ে আসে।

পুলিশের কাছে মহিলা রূপেই আসেন তিনি। তাঁকে গ্রেফতার করে পূর্ব বিধান নগর থানার পুলিশ। তাঁর আসল পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। জেরাই তিনি বারবার দাবি করতে থাকেন, তিনি একজন মহিলা। বাড়ি বর্ধমানে। অবশেষে পুলিশ সন্দেহের নিরসন করতে দ্বারস্থ হয় চিকিৎসকের কাছে। তিন জন ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা করার পর পুলিশ জানতে পারে, তিনি মহিলা নন একজন পুরুষ। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে প্রতারণার অভিযোগে।

প্রতারণা করার জন্য তিনি সুন্দরভাবে তাঁর কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করতে পারতেন, কখনও মেয়ের গলায় কথা বলে নিজেকে মেয়ে বলে দাবি করতেন। আবার কখনও পুরুষের গলায় কথা বলতেন।