কলকাতা: সেলাই কাটা নিয়ে জল্পনা চলছে। তারমধ্যে বৃষ্টির মধ্যে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে গার্ডেন রিচের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন, ঘোষণা করেছেন আর্থিক ক্ষতিপূরণের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। কিন্তু বিক্ষোভের আগুন তাতে ধামাচাপা দেওয়া যায়নি। গার্ডেনরিচের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় একের পর এক অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে পুরপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গার্ডেনরিচের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই গার্ডেন রিচের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ দাঁড়িয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন ৬ জন। তাঁদের কাছে অক্সিজেন পৌঁছানো হয়েছে।
সরু ঘিঞ্জি গলি, বস্তি এলাকায় পরপর তৈরি হয়েছে বহুতল। কিন্তু একাধিক বহুতলের ক্ষেত্রেও নির্মাণের বৈধতা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী গার্ডেনরিচে গেলেও, ক্ষোভ প্রশমিত করা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হামেশাই এই এলাকায় ৫-৬ তলা বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় এক যুবক বলেন, “মমতা দিদির কাছে একটাই অনুরোধ… আমাদের ঘরটা ফিরিয়ে দিন। মমতা দিদির কাছে গুজারিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, আমাদের মাথার ছাদ ফিরিয়ে দিন। আমরা কোথায় থাকব। আমার পাঁচ মাসের মেয়ে। তাকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। প্রোমোটার পুরো অবৈধভাবে নির্মাণ করছিল। তিন তলা পর্যন্ত করার কথা ছিল। চার তলা-পাঁচ তলা-বিল্ডিং বানিয়েই যাচ্ছে। ”
পাশেই আরেক যুবক বলেন, “এখানে পুলিশের কাছে আমরা আগেই অভিযোগ জানিয়েছি। এখানকার বেশিরভাগ ভবনই অবৈধ। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি, কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তার জন্যই বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে।”
এদিকে, দুর্ঘটনাস্থলে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ যেতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় সজল ঘোষকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।