Sacked Teacher Protest: ‘সরকারকেই আমাদের পোশাক ফিরিয়ে দিতে হবে’, অর্ধনগ্ন প্রতিবাদ থেকে গর্জন চাকরিহারাদের
Sacked Teacher Protest: আগেই থেকেই অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দিয়েছিল চাকরিহারারা। সকাল ১১টা থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে জমায়েতের কথা ছিল। যদিও চাকরিহারাদের খুব বেশি দেখা না পাওয়া গেলেও আগে থেকেই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের দখল নিতে দেখা যায় পুলিশকে।

কলকাতা: সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে জময়াতেও উত্তেজনার ছবি দেখা গিয়েছিল। খুঁজে খুঁজে প্রতিবাদীদের প্রিজন ভ্যানে তুলতে দেখা যায় পুলিশকে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিহারারা। দুপুরেই বিকাশ ভবনের সামনে ফের উত্তেজনা। অর্ধনগ্ন প্রতিবাদ চাকরিহারাদের। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তির ছবি দেখা যায়। শেষে তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলতে দেখা যায় পুলিশকে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
প্রিজন ভ্যানে উঠতে উঠতেই খালি গায়ে এক চাকরিহারাকে গর্জে উঠতে দেখা যায়। ক্যামেরার সামনেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, মেরে ফেলুক, গুলি চালাক। আর এক চাকরিহারা বলেন, “সরকারের দুর্নীতির কারণে আজ আমরা চাকরিহারা হতে বাধ্য হয়েছি। এই সরকারকেই আমাদের পোশাক ফিরিয়ে দিতে হবে। কীভাবে দেবেন সেটা ওনাদের ব্যাপার। আমরা সমাজে বের হতে পারছি না। বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন প্রশ্ন করছে। তার উত্তর দেওয়া আর এখানে উলঙ্গ হয়ে থাকা একই ব্যাপার।”
প্রসঙ্গত, আগেই থেকেই অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দিয়েছিল চাকরিহারারা। সকাল ১১টা থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে জমায়েতের কথা ছিল। যদিও চাকরিহারাদের খুব বেশি দেখা না পাওয়া গেলেও আগে থেকেই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের দখল নিতে দেখা যায় পুলিশকে। মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক মহিলা পুলিশ। চাকরিহারাদের দেখা মাত্রই তুলে ফেলা হয় পুুলিশের গাড়িতে। এরইমধ্যে বিকাশ ভবন চত্বরে ফের প্রতিবাদে ফেটে পড়েন চাকরিহারারা। সেখান থেকেই বলপ্রয়োগ করে তুলে দেয় পুলিশ। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী আঘাতও পেয়েছেন বলে খবর। এক চাকরিহারা ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে বলেন, “লাথি মারা হয়েছে। যেভাবে টাটা-হেঁচরা করেছে তাতে আমি আঘাত পেয়েছি।”
