Presidency Correctional Home: ডিজিপি পদমর্যাদার আধিকারিককে দিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের ‘বন্দি নিখোঁজে’র তদন্ত, নির্দেশ হাইকোর্টের

Calcutta High Court : আদালতের মন্তব্য, "গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কি রাতেই ছাড়তে হল? তিনি কোথায় আছেন? ভিডিও ফুটেজ নেই। খাতায় কোনও রেকর্ড নেই।"

Presidency Correctional Home: ডিজিপি পদমর্যাদার আধিকারিককে দিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের 'বন্দি নিখোঁজে'র তদন্ত, নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2022 | 4:34 PM

কলকাতা : সংশোধনাগার থেকে ‘বন্দি’ নিখোঁজ মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার (Presidency Correctional Home) কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ‘সংশোধনাগারের ক্যামেরা চলছে। লাইভ ছবি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ড (ডিভিআর) থেকে সেই রেকর্ড সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। অভিজ্ঞ, পেশাদারদের দেখানো হলেও, তারাও ওই রেকর্ড উদ্ধার করতে পারেননি।’ কিন্তু প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের এই রিপোর্টে মোটেই খুব একটা সন্তুষ্ট নয় আদালত। রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতের মন্তব্য, “গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কি রাতেই ছাড়তে হল? তিনি কোথায় আছেন? ভিডিও ফুটেজ নেই। খাতায় কোনও রেকর্ড নেই।”

রাজ্যের তরফে আরও বলা হয়েছে, যখন তাকে আনা হয়েছিল তখন ওয়ার্ড বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি দেখার জন্য রাজ্যের তরফে রাজীব কুমারের নাম প্রস্তাব দেওয়া হয়। মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়ে দেন, তাঁর হাতে দায়িত্ব না দিতে। বরং মামলাকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বা এএসজিকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে দুই পক্ষের মন্তব্য শোনার পর আদালতের নির্দেশ, “পুলিশকে দায়িত্ব দেব না, সরাসরি যার নিয়ন্ত্রণে জেল আছে।”

আদালত আরও জানিয়েছে, “অ্যাডভোকেট জেনারেলকে সমস্ত নথি জমা দিতে হবে, যেগুলি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে আছে। তিনি একজন আধিকারিককে ঠিক করবেন, যিনি ডিজিপি পদমর্যাদার আধিকারিক হবেন। তদন্ত করে সিল বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।” উল্লেখ্য, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করা হয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞাপন এবং বিচারপতি হিরণময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি চলছে।

২১ ডিসেম্বর থেকে ঘটনাটি শুরু হয়েছিল। বেআইনি মদ বিক্রিতে অভিযুক্ত রঞ্জিত ভৌমিক নামে এক ব্যক্তিকে ওই দিন জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল। সেই মতো  পরের দিন অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তিকে সংশোধনাগার থেকে নিয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য গেলে, তাঁরা জানতে পারেন ওই ব্যক্তিকে আগের দিনই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ, পরিবারের বক্তব্য, তিনি বাড়ি ফিরেননি। সেই থেকেই নিখোঁজ ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন : CPIM West Bengal: বিজেপি বিরোধী ‘মহাজোট’? মমতার বার্তাকে ‘বিশ্বাস’ করতে চাইছে না বঙ্গ সিপিএম