Corruption in Amphan Relief: রাজ্যের দেওয়া রিপোর্ট নিছকই আইওয়াশ! দুর্নীতি মামলায় ভর্ৎসনা কেন্দ্রের

Calcutta High Court: উপপ্রধানের বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী মজুত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।

Corruption in Amphan Relief: রাজ্যের দেওয়া রিপোর্ট নিছকই আইওয়াশ! দুর্নীতি মামলায় ভর্ৎসনা কেন্দ্রের
টেট উত্তীর্ণদের মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 3:38 PM

কলকাতা: আমফান দুর্নীতি মামলায় ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার (WB Govt)। রাজ্যের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করল না আদালত। পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়ির গোডাউনে মজুত করা ছিল কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী। পুলিশ এফআইআর করলেও, কোনও নির্দিষ্ট ধারায় তদন্ত হয়নি। সেই ইস্যুতেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আর সেখানে তদন্ত রিপোর্ট দেখে রাজ্যকে কার্যত ভর্ৎসনা করে আদালত। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল (Justice Rajesh Bindal) বলেন, ‘এ সব রিপোর্ট শুধুমাত্র আইওয়াশ করার জন্য দেওয়া হয়েছে।’

ত্রাণসামগ্রী নিয়েও এ ভাবে দুর্নীতি হয়েছে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। রাজ্যের তদন্তের রিপোর্ট নিছকই আইওয়াশ বলে ফিরিয়ে দেন তিনি। আগামী ২৭ শে সেপ্টেম্বর আবারও রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।

‘রিপোর্ট নিছকই আইওয়াশ’

আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই রিপোর্টে। আদালত রাজ্যের কাছে আগেই এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। এতবড় একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর মানুষের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি হল, অথচ রাজ্য সরকার অভিযুক্তদের কী পদক্ষেপ করেছে তার কোনও উল্লেখ কেন নেই, সেই প্রশ্নই সামনে এসেছে। আদালত ও জনগণের চোখে ধুলো দিতে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বিচারপতির।

কী অভিযোগ?

২০২০ সালে রাজ্যের তরফ থেকে বসিরহাটের ২ নম্বর ব্লকের আমফানে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ওই ব্লকের ঘোরারস কুলীন গ্রামে পাঁচটি ট্রাক ভর্তি ত্রাণ পাঠানো হয় বণ্টনের জন্য। অভিযোগ ওঠে, সেই সামগ্রী ছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বাড়ির গোডাউনে। বেআইনি সেই সামগ্রী মজুত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরে মালতিপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে দুটি ট্রাক বোঝাই ত্রাণ উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, ত্রাণ সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছিল এলাকা থেকে। গ্রামবাসীরা এই অভিযোগ নিয়ে মাটিয়া থানার দ্বারস্থ হয়। এফআইআর রুজু করে পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর করা হলেও, গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল ভারতীয় দণ্ডবিধির উপযুক্ত ধারা যোগ করা হয়নি।

কী সেই মামলা?

পুলিশি তদন্তে গাফিলতি দেখে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। গত অগস্ট মাসে এই মামলায় রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল রাজ্যকে বলেছিলেন, ‘আমফানের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে দুর্নীতির ঘটনা ঘটে কী ভাবে? উল্লেখ্য আমফান দুর্নীতি নিয়ে ‘ক্যাগ’ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই তদন্তের অন্যতম বিষয় ছিলো, ত্রাণ সামগ্রী বন্টন।