TMC: মমতার ‘দাওয়াইয়ের’ পরে কমিশনে ‘পাঁচ কথা’ বলে এল তৃণমূল
TMC in EC: সিইও-র কাছে ৫টি পয়েন্ট তুলে ধরল তৃণমূল কংগ্রেস। সিইও-সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিক বৈঠকও করলেন। সেখানেই সেই ৫ পয়েন্টের কথা বিশদে জানালেন চন্দ্রিমারা। শুরুতেই চন্দ্রিমা বলেন, “যে বিষয়গুলি নিয়ে মানুষ ভীত হচ্ছেন, সন্ত্রস্ত হচ্ছেন সেগুলিই আমরা কমিশনের কাছে বলেছি।”

কলকাতা: ‘নির্বাচনের দু’মাস আগে মানুষের গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়ার চক্র।’ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিএলএ-দের সঙ্গে বৈঠকে এ ভাষাতেই গর্জে উঠেছিলেন মমতা। রাজ্যজুড়ে ভুল ম্যাপিংয়ের অভিযোগে তোপের পর তোপ দেগেছিলেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। তাঁর সাফ কথা, ‘সম্পূর্ণ ভুল ম্যাপিং হয়েছে। কোনও মহিলা বিয়ে করেছেন, কিন্তু পদবি বদলাননি। কমিশন এমন একাধিক মহিলা ভোটারের নাম বাদ দিয়েছে বলে অভিযোগ মমতার। নাম নিয়েও বিভ্রাটের অভিযোগে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। এরইমধ্যেই এবার কমিশনে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজারা।
সিইও-র কাছে ৫টি পয়েন্ট তুলে ধরল তৃণমূল কংগ্রেস। সিইও-সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিক বৈঠকও করলেন। সেখানেই সেই ৫ পয়েন্টের কথা বিশদে জানালেন চন্দ্রিমারা। শুরুতেই চন্দ্রিমা বলেন, “যে বিষয়গুলি নিয়ে মানুষ ভীত হচ্ছেন, সন্ত্রস্ত হচ্ছেন সেগুলিই আমরা কমিশনের কাছে বলেছি। হয়তো কারও নামের বানানে ভুল রয়েছে, কোথাও বাংলা ও ইংরাজি বানানে তারতম্য হয়েছে তার জন্য ভুল রয়েছে। এগুলো কিন্তু যুক্তি দিয়ে বোঝা যায়। এগুলোর জন্য তাঁদের হিয়ারিংয়ের নোটিস দেওয়ার কোনও দরকার নেই। এটা আমরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি।”
এরপরই এসআইআর-এর ডকুমেন্ট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, “১১টি ডকুমেন্ট চাইছেন, ১২তম ডকুমেন্ট হিসাবে সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে আধারকে ধরে নিতে হবে। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এটাও বলেছে নির্বাচন কমিশন কোনওদিন নাগরিকত্বের প্রুফ দিতে পারে না। কারণ, সিটিজেনশিপ ইসিআই দেয় না। সে কারণেই আমরা বলেছি ১২তম ডকুমেন্ট হিসাবে আধারকে ধরতে হবে।” অন্যদিকে শুনানি শুরুর মুহূর্তে দূর-দূরান্তে হিয়ারিং সেন্টার তৈরি নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। চন্দ্রিমা বলেন, “নির্বাচন কমিশন এমন জায়গায় হিয়ারিং সেন্টার করেছে যেখানে গ্রামীণ এলাকায় মানুষকে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে হবে। মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু কেন মানুষ এত দূরে দূরে যাবে? কমিশন তো যে কোনও সরকারি জায়গায় করতে পারে। এগুলিও বলেছি।”
অন্যদিকে রাজ্যের বড় অংশের মানুষ কর্মসূত্রে বাইরে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে হিয়ারিংয়ে ডাক পেলে কী হবে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। চন্দ্রিমা বলেন, “যে সমস্ত মানুষ বাইরে আছে, যাঁদের অভিভাবকরা এখানে এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপ করেছে, তাঁদের হিয়ারিংয়ে ডাকলে তাঁরা কীভাবে আসবে? তাহলে যিনি ফর্ম ফিলাপ করেছেন তাঁর হয়ে তাঁকে এখানে ডাকা যেতে পারে। একটা কোনও এসওপি ভাল করে বের করুন। এটাও আমরা বলেছি।” অন্যদিকে এদিনও কমিশনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের। তাঁদের উপর কাজের চাপ নিয়েও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। চন্দ্রিমা বলেন, “বুথ লেভেল অফিসারদের উপর চাপ যে হারে বাড়ছে তা নিয়েও আমরা কথা বলেছি। কেএপি সার্ভে অর্থাৎ নলেজ অ্যাডিটিউড আর প্রাকটিস সার্ভে নিয়েও কথা বলেছি। এই সার্ভে কী, কী করে হচ্ছে, কীভাবে বিধানসভা ক্ষেত্র বাছা হচ্ছে সবটাই জানতে চাওয়া হয়েছে।”
