AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

DA Protester Beaten: ‘ব্যাজ দেখে চিনে ফেলে’, শৌচালয়ে যাওয়ার পথে ডিএ আন্দোলনকারীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

DA Protestor Beaten: আহত শিক্ষককের অভিযোগ, ডিএ আন্দোলনের ব্যাচ দেখে কয়েকজন তৃণমূল ছাত্র-যুব তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। ওই শিক্ষকের বুকে-ঘাড়ে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। তবে এখানেই উঠছে প্রশ্ন এত পুলিশ থাকার সত্ত্বেও কীভাবে একজন শিক্ষককে এইভাবে মার খেতে হল?

DA Protester Beaten: 'ব্যাজ দেখে চিনে ফেলে', শৌচালয়ে যাওয়ার পথে ডিএ আন্দোলনকারীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
আহত শিক্ষক মিন্টু পাইক (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2023 | 11:17 AM
Share

কলকাতা: হাইকোর্টের সতর্কবার্তা ছিল। পুলিশের প্রথম সারির অফিসাররাও ছিলেন। এমনকী থিকথিকে ভিড় ও ছিল পুলিশ আধিকারিকদের। ছিল ওয়াচ টাওয়ার-সিসি ক্যামেরা। তবুও ডিএ (DA) আন্দোলনকারীকে মারধরের অভিযোগ। হুগলি জেলার একটি স্কুলের শিক্ষক শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ তির তৃণমূলের দিকে।

আহত শিক্ষকের নাম মিন্টু পাইক। তিনি হুগলির একটি স্কুলে ভূগোল পড়ান। বুধবার ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। মিন্টুবাবুর বয়ান অনুযায়ী, রাত্রিবেলা পুলিশের অনুমতি নিয়ে সুলভ শৌচালয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও একজন শিক্ষিকা ছিলেন। আহত শিক্ষককের অভিযোগ, ডিএ আন্দোলনের ব্যাচ দেখে কয়েকজন তৃণমূল ছাত্র-যুব তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। ওই শিক্ষকের বুকে-ঘাড়ে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। তবে এখানেই উঠছে প্রশ্ন এত পুলিশ থাকার সত্ত্বেও কীভাবে একজন শিক্ষককে এইভাবে মার খেতে হল?

শিক্ষক মিন্টু পাইক বলেন, “রাত তখন দু’টো। আমি আমার এক স্কুলের শিক্ষিকাকে নিয়ে সুলভ শৌচালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। আমার বুকে ব্যাজ লাগানো ছিল। সেই ব্যাজ দেখেই তৃণমূলের প্রায় পনেরো-কুড়ি জনের দল আমায় মারতে শুরু করে। ওরা পার্টির ঝান্ডা ধরেছিল। আমার ঘাড়ে-পিঠে-পায়ে লেগেছে। ওরা বলছিল আপনারা চাকরি করছেন তবুও কেন এখানে এসেছেন?”

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি জানান, “এই ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। যদি এটা করে থাকে তাহলে তা ক্ষমা করা যায় না।”

উল্লেখ্য, হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার শহিদ মিনারের সভা ঘিরে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে, ডিএ ধরনা মঞ্চের একজন সদস্যও যেন আক্রান্ত না হন। কিন্তু এরপরও মিন্টু পাইককে মারধরের অভিযোগ উঠল। যে জায়গায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে সেখানে টিনের ব্যারিকেড ছিল। এমনকী সুলভ শৌচালয় যাওয়ার রাস্তায় বসানো রয়েছে সিসিটিভি। পুলিশের পদস্থ কর্তারা বসে ছিলেন। তারপরও কীভাবে মারধর করা হল ডিএ আন্দোলনকারীকে তার উত্তর এখনও মেলেনি।