AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sheikh Hasina: ভারতের পথে শেখ হাসিনা, হাই অ্যালার্ট জারি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে

Sheikh Hasina: শেখ হাসিনা ভারতের আগরতলায় পা রাখার পর থেকেই তাঁর যাবতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব বিএসএফের হাতে। ভারতীয় সেনা থাকবে, তবে মুখ্য দায়িত্ব বিএসএফের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে সীমান্তের দায়িত্ব যেহেতু বিএসএফের, মূলত ইস্টার্ন কমান্ডের, সূত্রের খবর দায়িত্ব তাদের হাতেই দেওয়া হয়েছে।

Sheikh Hasina: ভারতের পথে শেখ হাসিনা, হাই অ্যালার্ট জারি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে আগরতলার পথে।
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2024 | 4:59 PM
Share

কলকাতা: দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, ঢাকা থেকে আগরতলার পথে তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা। বাংলাদেশ এখন তোলপাড়। এই আবহে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। পূর্বাঞ্চলের সীমান্তকে সতর্ক করা হয়েছে। কলকাতা থেকে এডিজি ইস্টার্ন কমান্ড বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সীমান্তে। হাই অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন বিএসএফের ডিজি। 

শেখ হাসিনা ভারতের আগরতলায় পা রাখার পর থেকেই তাঁর যাবতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব বিএসএফের হাতে। ভারতীয় সেনা থাকবে, তবে মুখ্য দায়িত্ব বিএসএফের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে সীমান্তের দায়িত্ব যেহেতু বিএসএফের, মূলত ইস্টার্ন কমান্ডের, সূত্রের খবর দায়িত্ব তাদের হাতেই দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিজনরা ভারতে প্রবেশের পর যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন।

কিংবা আন্দোলনকারীরা কোনওভাবে ভারতে প্রবেশ করে তাঁদের উপর কোনও সমস্যা তৈরি করতে না পারে, বিএসএফ নজর রাখছে। সেনাবাহিনী যাবতীয় সহযোগিতা করবে বিএসএফকে। আগরতলায় শেখ হাসিনা আসার পর আধা সামরিক বাহিনী ও সামরিক বাহিনী সর্বতোভাবে তৈরি থাকবে বলেই খবর।

এখনও অবধি ভারতের বিদেশমন্ত্রক সরকারিভাবে একটি শব্দও জানায়নি। কারণ এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আন্তর্জাতিক সৌজন্য মেনেই এখনও ভারতের বিদেশমন্ত্রক কিছু বলেনি। তবে বাংলাদেশের ভিতর যা ঘটছে, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার পর তার প্রভাব বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরার উপর পড়বে তা কার্যত অনিবার্য। ইতিমধ্যেই ইস্টার্ন কমান্ড-সহ বিএসএফ সম্পূর্ণভাবে সীমান্তের দখল নিয়ে ফেলেছে।

সূত্রের খবর, দিল্লিতে নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লকে চরম তৎপরতা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নর্থ ব্লকে, সাউথ ব্লকে বিদেশমন্ত্রক। আছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও। তবে কী ধরনের তৎপরতা, কী প্রস্তুতি তা নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করা হয়নি।

নজর থাকছে, বাংলাদেশি শরণার্থীদের কোনওরকম চাপ তৈরি হচ্ছে কি না। ভারতের দিকে বাংলাদেশিরা ঢোকার চেষ্টা করে কি না। যদি তেমনটা হয়, তাহলে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, ভারত সরকারের অবস্থান কী হবে সবটা জানতেই এই মুহূর্তে বিদেশমন্ত্রকের দিকে তাকিয়ে সবমহল।