Jakir Hossain: বিড়ির কারখানা থেকে উদ্ধার ১১ কোটি টাকা! আয়কর নজরে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন
Jakir Hossain: বুধবার দিনভর তল্লাশি চালানো হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। ২৪ টির বেশি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অন্তত ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ : জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বিড়ি কারখানা থেকে ৮ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করল আয়কর দফতর। বুধবার দিনভর তল্লাশি চালানো হয় বিধায়কের বিড়ি কারখানায়। চারটি বিড়ি কারখানা থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুধবার থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মোট ২৪ টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের কারখানা থেকে যে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার সমর্থনে কোনও নথি দেখানো সম্ভব হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তবে বিধায়কের দাবি, উদ্ধার হওয়া টাকা বেআইনি নয়। খাতায়-কলমে সব ঠিক আছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আয়কর হানায় এভাবে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আবারও শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ল বলে মনে করছেন বিরোধীরা। বুধবার প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয় মুর্শিদাবাদের একাধিক বিড়ি কারখানায়। শুধুমাত্র জাকিরের বিড়ি কারখানা ‘শিব বিড়ি’ থেকেই ৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাকি কারখানাগুলি থেকে আরও কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ‘শিব বিড়ি’ হল বর্তমানে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বিড়ি সংস্থা।
এই প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, এই টাকা বেআইনি নয়। খাতায় কলমে সব ঠিকই আছে। তবে, সূত্রের খবর, টাকার উৎস কী , সেই সংক্রান্ত নথি আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সামনে পেশ করা সম্ভব হয়নি বলেই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। বুধবারই জাকির হোসেন দাবি করেন, তিনি ঠিক সময়ে কর দেন। বেআইনি কিছু হয়নি। তবে কিছু গরমিল থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, সেই সামান্য গরমিলের টাকাই কি এই ৮ কোটি? পরবর্তীতে বিধায়ক আইনের সাহায্য নেবেন বলে সূত্রের খবর।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, একদিকে যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কালো টাকা সরাতে উদ্যোগী হয়েছেন, তখন তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়ক বা ঘনিষ্ঠ সবার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তাঁর মতে, আইন মেনে চললে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, তাই প্রয়োজনে বিধায়ক হিসেব দেবেন। বাম নেতা শমীক লাহিড়ীর দাবি, দুর্নীতিগ্রস্তদের অবিলম্বে তাড়াতে হবে এ রাজ্য থেকে। উল্লেখ্য, বুধবার তল্লাশি শুরু হওয়ার পর বিধায়ক মদন মিত্র বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানার বিষয়টি একটি স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বুধবার কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববির বাড়ি ও হোটেলেও আয়কর দফতর তল্লাশি চালায় তবে টাকা উদ্ধারের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি এখনও।





