Santanu Sen: এবার শান্তনুর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ আইএমএ কলকাতা শাখার, সই করলেন সুদীপ্ত রায়ের কন্যা
Santanu Sen: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পর এদিন আইএমএ কলকাতা শাখার তরফে জানানো হয়, "রাজ্যে চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সর্বোচ্চ সংস্থা হল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তাঁরা আপনাকে ২ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে। ফলে আপনি রাজ্যে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোনও শাখার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না।

কলকাতা: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের পর এবার শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) কলকাতা শাখা। সাসপেনশন চিঠিতে সই রয়েছে আইএমএ কলকাতা শাখার সম্পাদক শিল্পা বসু রায়ের। সম্পর্কে যিনি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের কন্যা। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর রেজিস্ট্রেশন ২ বছরের জন্য বাতিল করায় আইএমএ কলকাতা শাখার প্রাথমিক সদস্যপদও সাসপেন্ড করা হল বলে শান্তনু সেনকে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে ‘এফআরসিপি গ্লাসগো’ নামে বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে তাঁকে নোটিসও পাঠিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। আর ২ দিন আগে তলব পেয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন শান্তনু। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তারপরই তাঁর রেজিস্ট্রেশন সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে ২ বছর চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না তিনি।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পর এদিন আইএমএ কলকাতা শাখার তরফে জানানো হয়, “রাজ্যে চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সর্বোচ্চ সংস্থা হল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তাঁরা আপনাকে ২ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে। ফলে আপনি রাজ্যে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোনও শাখার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। সেই কারণে আইএমএ কলকাতা শাখার প্রাথমিক সদস্যপদ সাসপেন্ড করা হল। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল আপনার সাসপেনশন প্রত্যাহার করলে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শান্তনু। তাঁর দাবি, তাঁর ডিগ্রি বৈধ। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনও করেছিলেন। আরটিআই-ও করেছিলেন। কিন্তু তিনি কোনই উত্তর পাননি। যদিও এদিন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায় বলেন, “শান্তনু সেনের কাছে ওই বিদেশি ডিগ্রি নেই। যেটা আছে তা সার্টিফিকেট।”





