কলকাতা: কার প্রশ্রয়ে দোর্দণ্ডপ্রতাপ সন্দীপ ঘোষ? স্বাস্থ্য ভবনের অস্বস্তি বাড়িয়ে নতুন নথি টিভি নাইনের হাতে। ন্যাশনাল মেডিক্যালের এমএসভিপি থাকাকালীনই উঠেছিল অনিয়মের অভিযোগ। আখতার আলির অভিযোগের আগেও সন্দীপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। সন্দীপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ন্যাশনালের একাধিক বিভাগীয় প্রধান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সন্দীপের বিরুদ্ধে তদন্তকমিটি গঠন করেন তৎকালীন DME দেবাশিস ভট্টাচার্য। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটি গঠন হলেও একটি বৈঠকও নাকি হয়নি। আরজি কর কাণ্ডের আবহে বারবার সামনে এসেছে ‘উত্তরবঙ্গ লবির’ প্রসঙ্গত। সন্দীপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথাও উঠে এসেছে। তবে কি ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ফোনেই নিষ্ক্রিয় ছিল তদন্ত কমিটি? বাড়ছে চাপানউতোর। সূত্রের খবর, ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। কিন্তু, সব কমিটি থেকেই নিট ফল জিরো।
প্রসঙ্গত, আরজি করে দুর্নীতি মামলায় প্রথমে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে তিলোত্তমার খুন-ধর্ষণের কেসেও গ্রেফতার। ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির একদিনের মধ্যেই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। এরইমধ্যে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করে দিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
অন্যদিকে আরজি কর আবহে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরেছেন বিনীত গোয়েল। সরানো হয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য কর্তাকে। উঠেছে স্বাস্থ্য ভবনের সামনের অবস্থান। টানা ১১ দিন আর জি কর কাণ্ড নিয়ে ধর্না কর্মসূচিতে বসেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে রাস্তার উপরে দিন রাত চলেছে ধর্না কর্মসূচি। সেখানে আবার আশপাশের দেওয়ালে একাধিক স্লোগান লিখেছিলেন আন্দোলনকারীরা। রাস্তায় ডিভাইডারে এবং রাস্তার ওপরেও স্লোগান লেখা হয়েছিল। জুনিয়র চিকিৎসকরা এখান থেকে নিজেদের অবস্থান কর্মসূচি সরিয়ে নেওয়ার পরই সক্রিয় এনকেডিএ প্রশাসন। আশপাশের সব দেওয়াল রং করে ফেলা হচ্ছে। মুছে ফেলা হচ্ছে যাবতীয় স্লোগান। রং করা হচ্ছে ডিভাইডারে।