কলকাতা: নন্দীগ্রামের থেকে ভবানীপুরে জেতা সহজ! বললেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে হিন্দু নির্যাতন। সেই সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নাম জড়িয়ে যাওয়া। এহেন আবহে হিন্দুত্বের ধ্বজাকে আরও ঊর্ধ্বে তুলছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিগত সপ্তাহে তাঁর একটানা কর্মসূচি দেখে এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই কথা বলেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। মত, ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের।
নন্দীগ্রামে ৬৫ শতাংশ হিন্দু ভোট । তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার তুলনায় ভবানীপুর বিধানসভায় অমুসলিম ভোট ১৫ শতাংশের মতো বেশি। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ অমুসলিম ভোট রয়েছে। সেই তুলনাকে সঙ্গী করেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নন্দীগ্রামের তুলনায় ভবানীপুর সহজ বলে মনে করেছেন।
তবে শুধু অমুসলিম ভোট নয়। ভবানীপুরে রয়েছে অবাঙালি ভোটার। যাঁরা বরাবর ঝুঁকে থাকে বিজেপির দিকে, এমনটাই বলে থাকেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশ। শুধুমাত্র অমুসলিম ভোট, আবাঙালি ভোট নয়, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ভবানীপুর বিধানসভার ৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫ টি ওয়ার্ডে বিজেপির এগিয়ে থাকাও ভরসা যোগাচ্ছে শুভেন্দুকে।
যদিও তিনটি ওয়ার্ডে এগিয়ে থেকেই সামগ্রিক ভাবে লোকসভা ভোটে ভবানীপুর ৮, ২৭১ ভোটে লিড পেয়েছিলেন তৃণমূলের মালা রায়। পরিস্থিতির বদল হয়েছে। আরও হিন্দু ভোটাররা বর্তমানে প্রেক্ষাপটে ঐক্যবদ্ধ হবে বলে ঘনিষ্ঠ মহলে বারবার বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। লোকসভার ভোটের পরিসংখ্যান আর হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া – এই দুই জোড়া ফলায় ভর করেই ভবানীপুর জয়ের দাবি করছেন শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, লোকসভা আর বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষাপট আলাদা হয়। তাই যে ব্যবধান লোকসভায় হয়েছিল, তার কয়েক গুণ ব্যবধানে ঘাসফুল প্রার্থী জয়ী হবেন ওই আসন থেকে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপভোটে ৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিতেছিলেন ৫৮, ৮৩২ ভোটে। আবারও বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বিপুল ভোটে ওই আসন থেকে জয়ী হবে বলেই দাবি করছেন রাজ্যের শাসক শিবিরের নেতৃত্বে। সেই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দাবিকে আকাশ কুসুম কল্পনা বলেও কটাক্ষ করছেন তাঁরা।