কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনার পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে র্যাগিং বন্ধের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। এই ঘটনায় এখনও অবধি ৯ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা জারি রয়েছে। বিষয় নিয়ে ইউজিসি-কে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও ৩ পড়ুয়াকে। গ্রেফতার শেখ নাসিম আক্তার, হিংমাশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়কে। এর মধ্যে দু’জন প্রাক্তনী, একজন বর্তমান পড়ুয়া বলে খবর। বিস্তারিত পড়ুন- যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন
যাদবপুরের হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সঙ্গে কী কী হত? পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিস্তারিত পড়ুন: যাদবপুরের হস্টেলে কী কী হত জুনিয়রদের সঙ্গে, একটা মৃত্যু ফাঁস করে দিল সবকিছু
যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কড়া আইন চালু করার পক্ষেও সওয়াল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘যাদবপুরের ঘটনা লজ্জার’, র্যাগিং বন্ধের জন্য কড়া আইনের পক্ষে সওয়াল সৌরভের
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও তিন জন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। যাদবপুর থানায় ডেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিন জন প্রাক্তন পড়ুয়া এবং এক জন বর্তমান পড়ুয়া। ঘটনার দিন এরা হস্টেলে ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
হস্টেলে সিনিয়রদের উপস্থিতি ও অনুমতি ছাড়া জুনিয়র (প্রথম বর্ষ) পড়ুয়ারা ফোনে পরিবার বা অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে পারত না। প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদের এমনি তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। হস্টেলের জুনিয়রদের জন্য রোস্টার তৈরি করা হত, কে কবে টয়লেট পরিষ্কার করবে। সিনিয়রদের ঘর গুছিয়ে দেওয়া, ঘর পরিষ্কার করে দেওয়া, টয়লেট পরিষ্কার করে দিতে হত জুনিয়রদের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা। সেই কাজের জন্য় শুক্রবার দুপুরে এক ছাত্রকে নিয়ে আসা হয়েছিল। বিকালে অপর এক ছাত্রকে ফের নিয়ে আসা হল। প্রত্যেক ছাত্রের বয়ান মিলিয়ে দেখতেই এক এক করে এনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। যুব মোর্চার মঞ্চ খুলে নেওয়ার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ।
শুক্রবার ক্যাম্পাসে এসে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তিনি বলেছেন, “যেহেতু এখন তদন্ত চলছে, বিভিন্ন তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আমি অত্যন্ত ব্যস্ত। আমাকে রিপোর্ট তৈরি করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় কোনও চ্যানেল বা কোনও জায়গায় মন্তব্য করার মতো সময় নেই। তদন্তের স্বার্থে কোনো মন্তব্য করব না।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে শুক্রবার বিকাল ৪টেয় একটি র্যালির ডাক দেওয়া হয়েছে। যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংগঠন ডিএসএফ এই মিছিলের ডাক দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওবাদী, নকশালপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলিকে ২১ অগস্টের মধ্যে নিষিদ্ধ না করলে ২৫ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝোলাবে এবিভিপি। সাংবাদিক সম্মেলন করে এই হুশিয়ারি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দক্ষিণবঙ্গ নেতৃত্বের। ২৫ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও অভিযানের ডাক দিল এবিভিপি। ইউজিসিকে চিঠি দিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপের জন্য আবেদন জানাবে বিজেপির সর্ব ভারতীয় ছাত্র সংগঠন এবিভিপি।
হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্য়ু ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার দিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল হস্টেলে। তা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পুননির্মাণের জন্য মেন হস্টেলে এসেছেন লালবাজারের তদন্তকারীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা তথা যাদবপুরের প্রাক্তন পড়ুয়া সপ্তক কামিল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে শুক্রবার নিয়ে আসা হয়েছে পুনর্নির্মাণ করার জন্য।
যাদবপুরের মেন হস্টেলে গিয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পুননির্মাণ করল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তদন্তকারী অফিসাররা মেন হস্টেলে যান। হস্টেলের যে ব্লকে ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানে গিয়ে গোটা এলাকা দেখেন তাঁরা। ছাত্রমৃত্যুর দিন ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতেই এই পুননির্মাণ করা হচ্ছে। এই কাজের জন্য গ্রেফতার হওয়া এক ছাত্রকে শুক্রবার নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ধাপে ধাপে বাকি ধৃতদেরও আনা হবে। সকলের বয়ান মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।