Sourav Ganguly: ‘যাদবপুরের ঘটনা লজ্জার’, র্যাগিং বন্ধের জন্য কড়া আইনের পক্ষে সওয়াল সৌরভের
Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে যে ঘটনা ঘটেছে, তা যেন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না, তা এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। র্যাগিং-এর মতো ঘৃণ্য কাজকর্ম বন্ধ করার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলছেন তিনি।
কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত ও হতবাক তিনি। যাদবপুরের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই জোরালো হচ্ছে র্যাগিং-এর তত্ত্ব। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। বলছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই জাতীয় কাজকর্ম বন্ধ করতে কড়া আইন আনা দরকার। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত, কড়া আইন চালু করা। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার জায়গা। এসব অবশ্যই কড়া হাতে বন্ধ করতে হবে।’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে যে ঘটনা ঘটেছে, তা যেন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না, তা এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। র্যাগিং-এর মতো ঘৃণ্য কাজকর্ম বন্ধ করার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলছেন তিনি। কড়া আইনি দাওয়াইয়ের পক্ষেই সওয়াল সৌরভের। উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে র্যাগিং বন্ধ করার জন্য অ্যান্টি র্যাগিং সেল রয়েছে। কিন্তু তারপরও কেন বার বার এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই যেমন যাদবপুরের ক্ষেত্রেই দেখা যাক, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি না লাগাতে দেওয়া কিংবা বহিরাগতদের অবিরাম আনাগোনা… তা নিয়ে অতীতেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি ডিপার্টমেন্টের বাইরে মদের বোতল পড়ে রয়েছে। নাগাড়ে এই সব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকায় শেষ পর্যন্ত টনক নড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, মাদক কিংবা সুরা নিয়ে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্য়াম্পাসে ঢুকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপগুলি করতে এতদিন কেন সময় লেগে গেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের? তা নিয়েও রয়ে যাচ্ছে প্রশ্ন।