AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jadavpur University: ‘রাজ্যের সাহায্য ছাড়া উৎকর্ষের শীর্ষে পৌঁছত না যাদবপুর’, অর্থ সঙ্কট বিতর্কে জল ঢালতেই সুরঞ্জনের ‘ভিন্ন সুর’?

Jadavpur University: উপাচার্যের দাবি রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া যাদবপুর এই উৎকর্ষের শীর্ষে পৌঁছত না। কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কেই আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

Jadavpur University: ‘রাজ্যের সাহায্য ছাড়া উৎকর্ষের শীর্ষে পৌঁছত না যাদবপুর’, অর্থ সঙ্কট বিতর্কে জল ঢালতেই সুরঞ্জনের 'ভিন্ন সুর'?
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2022 | 11:48 PM
Share

কলকাতা: চরম অর্থসঙ্কটে ভুগছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। এ খবর শোরগোল ফেলে দিয়েছে শিক্ষা মহলে। সঙ্কট মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের থেকে অর্থ সাহায্য চেয়ে চিঠিও লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস (Suranjan Das)। সমস্যা নিরসনে অর্থনীতির অধ্যাপকের নেতৃত্বে আর্থিক কমিটিও গড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কোষাগার ফাঁকা হয়ে যাওয়া নিয়ে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকরাই রাজ্য সরকারের দিকে আঙুলও তুলেছিলেন। যদিও এর মধ্যেই এবার বিবৃতি দিয়ে এ বিষয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ দিলেন খোদ উপাচার্য। 

উপাচার্যের দাবি রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া যাদবপুর এই উৎকর্ষের শীর্ষে পৌঁছত না। কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কেই আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সব জায়গাতেই স্থানীয় সরকারের সহযোগিতা কমেছে। এমনকি আইআইটিগুলিও গত কয়েক বছরে প্রাক্তনীদের সাহায্য গ্রহণ করেছে। তাই আমরাও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই পথ অবলম্বন করেছি। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। যা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে যাদবপুর সহ গোটা রাজ্যের শিক্ষা মহলে। অর্থ সঙ্কট বিতর্কে জল ঢালতেই কী তবে সুরঞ্জনের গলায় ‘ভিন্ন সুর’? উঠছে প্রশ্ন।

অর্থ সঙ্কটের জন্য রাজ্য সরকারকে দুষেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার

এদিকে অর্থ সঙ্কটের জন্য রাজ্য সরকারকে দুষেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। রাজ্যের সরকারের দিকে আঙুল তুলে তাঁকে আগেই বলতে শোনা যায়, “রাজ্যের আর্থিক বেহাল অবস্থার প্রতিফলন আজকের যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক খরচ পয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কোটি। সেখানে রাজ্য দিচ্ছে মাত্র কুড়ি কোটি টাকা। চুরি আর রাজ্য সরকারের অর্থ ভান্ডারের টাকা তছরুপ হওয়ার প্রভাব পড়ছে শিক্ষাক্ষেত্রে। আজ যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। আগামীতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটবে। এই ব্যাপারে সমস্ত ছাত্র শিক্ষক মিলে এর প্রতিবাদ করা উচিৎ নাহলে আগামী প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে।” কার্যত একই সুর শোনা গিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের গলাতেও। তাঁর সাফ বক্তব্য, “বিশ্ববিদ্যালয় এই মুহূর্তে বছরে প্রায় ৪৫-৫০ কোটি টাকা লাগে দৈনন্দিন খরচে (ল্যাবরেটরি চালানো, ক্লাস চালানো এবং বিভিন্ন বিদ্যুতের খরচ)। সেখানে রাজ্য সরকার এখন মেরে কেটে ২০ কোটি টাকা দিচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ৩০ কোটি টাকার ঘাটতি।”