
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ভুল প্রমাণে আসরে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, পুজোর মরসুমে বাংলাকে ভাসাতে চায় দামোদর ভ্য়ালি কর্পোরেশন। কেন রাজ্য সরকারকে না-জানিয়ে ডিভিসি জল ছেড়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি।
একদিকে মমতার অভিযোগ, দিনের দিনই পাল্টা আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। দুয়ারে ছাব্বিশের নির্বাচন। তাই আপাতত ‘অতিসক্রিয়’ সব পক্ষই। মমতার তুলে ধরা তথ্য ভুল প্রমাণে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল।
The latest update on the unilateral and wilful release of water by DVC is that they have by the evening today released more than 150,000 cusecs of water from Maithon and Panchet dams etc to flood our West Bengal during festival times. This is a deliberate ploy to unleash disaster…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 3, 2025
নিজের সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মাইথন, পাঞ্চেত-সহ একাধিক জলাধার থেকে দেড় লক্ষ কিউসেকেরও বেশি জল ছেড়েছে ডিভিসি। তবে মমতার তুলে ধরা সেই তথ্যকে নস্যাৎ করেছেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী। দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেশন কমিটির সচিবের থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মোট ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যার মধ্য়ে মাইথন থেকে ৪২ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি এবং পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হয়েছে ২৭ হাজার কিউসেক জল।
Damodar Valley Reservoir Regulation Committee (DVRRC)has been mandated to guide DVC in release of water from the Maithon and Panchet reservoirs in a co-ordinated manner and it follows a very systematic and scientific approach for reservoir operation as per laid down procedure in… https://t.co/guN5v0V5Rb
— C R Paatil (@CRPaatil) October 3, 2025
/h3>
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংযোজন, ‘ডিভিসির সমস্ত জলাধার থেকে সর্বদাই বিজ্ঞান সম্মত ভাবে জল ছাড়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর যে টুইট করেছেন দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার, তেমনটা কিছুই হয়নি।’ শুক্রবার নিজের সমাজমাধ্যমে ওই পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেছিলেন, পুজো-পার্বণের সময় ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে বাংলাকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি ভিন্ন। তাঁর তুলে ধরা ‘তথ্য’ অনুযায়ী, বাংলার নিম্ন দামোদর সংলগ্ন এলাকায় ঠিকই আছে। হুগলিতেও জলস্তর ‘স্বাভাবিক’ রয়েছে।