Job Seekers Agitation: সরস্বতী পুজোর সকালে ধর্নায় ‘না’, বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে আজই বাগদেবীর আরাধনা ধর্মতলায়
Saraswati Puja: বুধবার বিকেলেই প্রতীকী সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। একটি ছোট প্রতিমার পাশাপাশি এক ছোট্ট মেয়েকে সরস্বতীর বেশে সাজিয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
কলকাতা: বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2023)। ওই দিনেই আবার সরস্বতী পুজোও (Saraswati Puja) রয়েছে। অতঃপর আগামিকাল ধর্নায় বসতে পারছেন না গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই তাঁদের আগামিকাল ধর্নায় বসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ধর্নামঞ্চে আগামিকাল সরস্বতী পুজোর আয়োজন করতে পারছেন না তাঁরা। তাই আজই বিকেলে প্রতীকী সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। একটি ছোট প্রতিমার পাশাপাশি এক ছোট্ট মেয়েকে সরস্বতীর বেশে সাজিয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
নিয়োগ পেয়ে গেলে, হয়ত ওরা আগামিকাল স্কুলেই পড়ুয়াদের সঙ্গে সব়স্বতী পুজো পালন করতেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র অনেকটা আলাদা। আজ ওদের আন্দোলন ৬৮২ দিনে পা রাখল। নিজেদের হকের চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আশ্বাস মিলছে, কিন্তু কোনও স্থায়ী সমাধান এখনও মিলছে না। তাই বাড়ি-ঘর ছেড়ে ওদেরও পড়ে থাকতে হচ্ছে রাস্তার ধারে। দুর্গাপুজো, দীপাবলি, বড়দিন সবই রাস্তাতেই কেটেছে ওদের। ধর্মতলা চত্বর শহরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে এখানে ধর্নায় বসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। অতীতে এমন নিদর্শন একাধিকবার রয়েছে। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসেও আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের ই-মেল মারফত জানানো হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তাজনিত কারণে এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওইদিনে ধর্নায় বসা যাবে না।
এদিন বিকেলে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে প্রতীকী সরস্বতী পুজোর সময়েও চাকরিপ্রার্থীদের হাতে প্ল্যাকার্ড। পিছনে ব্যানারে বড় বড় করে ফুটে উঠছে ৬৮২ দিনের বেকারত্বের জ্বালা। উঠল নিয়োগের দাবিতে স্লোগান। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, “আগামিকালই আমাদের সরস্বতী পুজো করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ তো আমাদের মানতেই হবে। তাই আমার আজ প্রতীকী এই আয়োজন করেছি। যেহেতু এখনও তিথি পড়েনি, তাই আমরা ঘট প্রতিষ্ঠা করিনি, মন্ত্রোচ্চারণও করিনি। সরস্বতী মায়ের কাছে আমাদের একটাই প্রার্থনা, যোগ্যরা আর কতদিন এই ফুটপাথে বসে নরক যন্ত্রণা ভোগ করবে?” সব মিলিয়ে প্রতীকী সরস্বতী পুজোর আয়োজনেও তাঁদের চোখে মুখে শুধুই বেকারত্বের জ্বালা।