Kolkata Metro: আরও একধাপ এগোলো জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর কাজ, শেষ কবে?
Kolkata: জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের যেটুকু অংশ মাটির নিচে রয়েছে, সেখানে টানেল বোরিং মেশিন কতটা কাজ করতে পারবে, সেটা নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়েছিল। কারণ উপরে রয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, পুলিশ ট্রেনিং স্কুল, ফোর্ট উইলিয়ামের একাংশের মতো ঐতিহ্যবাহী ভবন।

কলকাতা: রাজ্য সরকারের জমি জটিলতা, ভারতীয় সেনার নো অবজেকশন নিয়ে টালবাহানা কাটিয়ে গত জুলাই মাসে টানেল বোরিং মেশিন ‘দুর্গা’ মাটির নিচে সুড়ঙ্গ খননকার্য শুরু করেছিল। এবার দ্বিতীয় টানেল বোরিং মেশিন ‘দিব্যা’ মাটির নিচ থেকে সুড়ঙ্গ খননকার্য শুরু করল।
জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের যেটুকু অংশ মাটির নিচে রয়েছে, সেখানে টানেল বোরিং মেশিন কতটা কাজ করতে পারবে, সেটা নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়েছিল। কারণ উপরে রয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, পুলিশ ট্রেনিং স্কুল, ফোর্ট উইলিয়ামের একাংশের মতো ঐতিহ্যবাহী ভবন। তবে দেখা গেল, গত জুলাই মাসে ‘দুর্গা’ নামক টানেল বোরিং মেশিনটি কাজ শুরু করেছিল, তা প্রায় ১৫০ মিটার পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খননকার্য করে এগিয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের রূপায়ণকারী সংস্থার রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে ভিক্টোরিয়ার নিচে পর্যন্ত মাটির খননের কাজ শেষ হয়ে যাবে। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসেই পার্কস্ট্রিটের নিচে কাজ শেষ হয়ে পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনকে জুড়ে দেওয়া হবে।
খিদিরপুরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭ মিটার নীচে যেখান থেকে ‘দুর্গা’ কাজ শুরু করেছিল। এখান থেকে ডিব্বা নিজের কাজ শুরু করল। কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার শুভ্রাংশু শেখর মিশ্রা বোতাম টিপতেই দেশের সর্ববৃহৎ এই দ্বিতীয় টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু করল।
দুটি টানেল বোরিং মেশিন
নাম: দুর্গা এবং দিব্যা
- আপ লাইনে অর্থাৎ পার্ক স্ট্রিটমুখী লাইনে সুড়ঙ্গ খনন কাজ শুরু করেছে দুর্গা
- একইভাবে পাশের লাইনে সুড়ঙ্গ খনন করবে দিব্যা
- দৈর্ঘ্য ও ওজন: মেশিনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ মিটার এবং ওজন ৬৫০ টন।
সুড়ঙ্গ খনন: উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রিকাস্ট সেগমেন্ট রিং দিয়ে সুড়ঙ্গ খনন এবং নির্মাণ করা সম্ভব।
দুর্গার টাইমলাইন: জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডর অর্থাৎ পার্পল লাইনে প্রথমে সেন্ট থমাস থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত ১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মাণ করবে। প্রথম খননের কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসে।
দ্বিতীয় পর্যায়: দ্বিতীয় ড্রাইভটি ভিক্টোরিয়া থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত ৯৫০ মিটার বিস্তৃত হবে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে।
পার্ক স্ট্রিট থেকে এসপ্ল্যানেড: এইটুকু অংশে টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে কাজ করা হবে না। প্রায় ৮০০ মিটার এই অংশে কাজ হবে কাট অ্যান্ড কভার প্রক্রিয়ায়।
খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেড: সূত্রের খবর, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হয়।
জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডর: জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের খিদিরপুর থেকে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত টানেল তৈরির কাজের জন্য টানেল বোরিং মেশিনটি ব্যবহার করা হবে। যা খিদিরপুর থেকে নামানো হয়েছে।
পার্পেল লাইনে আপাতত জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু আছে।
জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরে (পার্পেল লাইন) মোট চারটি স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ।
এই লাইনের জন্যে এসপ্ল্যানেড স্টেশন তৈরির জন্য ময়দানের যেখানে বিধানচন্দ্র রায় মার্কেট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ইডেন গার্ডেন্স স্টেশন তৈরি হলে তা পঞ্চম ভূ-গর্ভস্থ স্টেশন হবে।
