Kalyan Banerjee: ‘এই সব বিচারপতিদের জন্যই তো মনে সন্দেহ জাগে…’, কাকে নিয়ে বোমা ফাটালেন আইনজীবী কল্যাণ?
Kalyan Banerjee: কল্যাণ বলেন, " আমরাও কিছুদিন আগে দেখেছি, হাইকোর্টের বিচারপতি রিজাইন করে রাজনীতি জয়েন করে ভোটে লড়ছেন। সিজিআই অবসর নিয়ে মেম্বার অফ পার্লামেন্ট হচ্ছেন। সিজিআই অবসরের পর গভর্নর হচ্ছে।"

নয়া দিল্লি: দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের অভিযোগ, গোটা দেশের রাজ্য রাজনীতিকে তোলপাড় করেছে। সংসদে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছে কংগ্রেস। ‘টাকা উদ্ধারের ঘটনা’ নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যাও চেয়েছে বিরোধী। তার মধ্যে এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গেই কল্যাণ বলেন, “এই ধরনের জজ সাহেবদের জন্য জুডিশিয়ারির বদনাম হয়। প্রশ্নটা হচ্ছে, জাস্টিস ভার্মাই কি শেষ নাকি আরও অনেকে আছে?” তদন্ত ও আইনি পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সিজিআই-এর কনসার্ন ছাড়া বিচারপতিদের ব্যাপারে কেউ কোনও তদন্ত করতে পারবে না, সেটা হয় না। কারণ কনসার্ন তো তখন দেবে, যখন টাকা উদ্ধার হবে। কিন্তু একটা তথ্য যখন আসবে, তখনই কেন তদন্ত শুরু হবে না? সুপ্রিম কোর্টকে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।”
এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে বেশ কয়েকটি উদাহরণ দেন তিনি। কল্যাণ বলেন, ” আমরাও কিছুদিন আগে দেখেছি, হাইকোর্টের বিচারপতি রিজাইন করে রাজনীতি জয়েন করে ভোটে লড়ছেন। সিজিআই অবসর নিয়ে মেম্বার অফ পার্লামেন্ট হচ্ছেন। সিজিআই অবসরের পর গভর্নর হচ্ছে। আমাদেরও তো মনে সন্দেহ জাগে। কোন জাজ কোন রঙের! সাদা, নীল নাকি স্যাফরন?” কল্যাণের কথায়, “যে বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাস রয়েছে, সেই বিশ্বাসে আঘাত লাগলে মুশকিল হয়ে যাবে।”
তদন্তপ্রক্রিয়াটা যাতে তাড়াতাড়ি শেষ হয়, সেই আবেদনও জানান। প্রসঙ্গত, দোলের ছুটি চলাকালীন বিচারপতি বর্মার বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ উদ্ধার করা হয় বলে অভিযোগ। বিচারপতির সরকারি বাংলোয় আগুন লেগে গিয়েছিল। তাঁর পরিবারের সদস্যেরাই দমকল ডেকেছিলেন। আগুন নেভানোর সময়ে সেই দমকলকর্মীরাই বাড়িতে ‘টাকার পাহাড়’ দেখতে পান বলে দাবি করা হচ্ছে। সে সময়ে বিচারপতি বাড়িতে ছিলেন না বলে খবর। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। এই গোটা বিষয়টি সংসদে ইস্যু করেছে কংগ্রেস।





