AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalyan Banerjee: ‘প্রথমে MP-MLA হব, তারপর পদের অপব্যবহার করব’, হেসে-হেসে কাকে নিশানা কল্যাণের?

Kalyan Banerjee: আজ সাংবাদিকরা কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন কল্যাণকে। অনেকেই নাকি মহুয়াকে রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র বলছেন। যদিও সেই নিয়ে মুখ খুলতেই চাননি শ্রীরামপুরের সাংসদ।

Kalyan Banerjee: 'প্রথমে MP-MLA হব, তারপর পদের অপব্যবহার করব', হেসে-হেসে কাকে নিশানা কল্যাণের?
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2025 | 6:27 PM
Share

সফল আইনজীবী তিনি। চারবারের সাংসদও। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তাই এর মার-প্যাঁচ সবটাই বোঝেন। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবার মুখ খুললেন বর্ণময় রাজনীতি নিয়ে। তৃণমূলের সাংসদের দাবি, তিনি বর্ণময় রাজনীতি বোঝেন না। শুধু জানেন, রাজনীতি মানেই মানুষের সেবা করা। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কল্যাণ বুঝিয়ে দিলেন কতটা খেটে আজ এই জায়গায় তাঁকে পৌঁছতে হয়েছে। নাম না করে এও অভিযোগ করলেন, বর্তমানে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা বিধায়ক-সাংসদ পদের অপব্যবহার করছেন। তবে কোন দলের নেতা-নেত্রীদের কটাক্ষ করলেন সাংসদ তা স্পষ্ট করেননি।

আজ সাংবাদিকরা কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন কল্যাণকে। অনেকেই মহুয়াকে রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র বলছেন। যদিও সেই নিয়ে মুখ খুলতেই চাননি শ্রীরামপুরের সাংসদ। বলেন, “ওর সম্বন্ধে প্রশ্ন করবেন না। অনেক স্পেশিফিক কমেন্ট করতে হবে। আপনারা জানেন সব, আর কিছু বলার কিছু নেই।” এরপর সেই রেশ ধরেই কল্যাণ বলতে শুরু করেন নিজের লড়াই-সংগ্রামের কথা। কীভাবে বাঁকুড়া থেকে এসে নিজের কেরিয়ার তৈরি করেছেন সে কথাই বলেন তিনি। সাংসদ বলেন, “বাঁকুড়া থেকে এসে কেরিয়ার তৈরি করেছি।তারপর দীর্ঘকাল এখানে থেকেছি। লড়াই করেছি।”

তৃণমূলের এই নেতা বাংলার রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র বলতে কাদের বোঝেন, তাও স্পষ্ট করে দেন। এক মুখ হেসে বললেন,”সিদ্ধার্থ শঙ্কর, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, জ্যোতি বসু, মমতাদি….এরাই আমার কাছে বর্ণময় চরিত্র।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন “কালারফুল পলিটিক্স কী ? আমি বুঝি না। রাজনীতি মানে মানুষের সেবা। রাজনীতিতে এসে বিধায়ক-সাংসদ হয়ে যদি অপব্যবহার করা হয় সেটা বর্ণময় বা কোনও চরিত্রই নয়।”

কল্যাণ এ দিন স্পষ্ট বলেন, “আমি কারও নাম করছি না। বাংলার রাজনীতি অন্য। এখানকার রাজনীতি উত্তর প্রদেশ বা লন্ডনের মতো নয়। এখানকার মানুষ রাজনীতিবিদদের লড়াইয়ের জন্য শ্রদ্ধা করেন। তাঁকে অন্য কিছু করার জন্য শ্রদ্ধা-সম্মান করে না। আমরা তো রাজনীতি করতে করতে এসে সাংসদ হয়েছি। এই পদের অপব্যবহার করিনি। এখনকার নির্দশন হয়েছে প্রথমে এমপি হব, এমএলএ হব, তারপর সেই পদের অপব্যবহার করে নিজস্ব জীবন তৈরি করব। আমি এর বিরোধী।”