Kasba Case: ‘ওয়াশরুমের বাইরে প্রথম চেষ্টা, তখনই প্যানিক অ্যাটাক…’, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর ঠিক কী কী হয়েছিল, অভিযোগকারিনীর বক্তব্য শিউরে ওঠার মতো
Kasba Case: ইনহেলার কিনে এনে দিতে বলেন অভিযোগকারিনী। অভিযুক্ত তখন একজনকে দিয়ে ইনহেলার আনিয়ে দেন। অভিযোগকারিনীর বক্তব্য, সেটি নিয়ে তিনি সাময়িক সুস্থ বোধ করেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরও ছাড় মেলেনি। নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে চলে যৌন নির্যাতন!

কলকাতা: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। সূত্রের খবর,বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পরে ঠিক কী কী ঘটেছে, অভিযোগকারিনীর বক্তব্যে ছত্রে ছত্রে শিউরে ওঠার মতো বর্ণনা।
অভিযোগ, প্রথমবার ইউনিয়ন রুমের ওয়াশরুমের কাছে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। তখন বাইরে পাহারায় থাকেন দুজন। সেই সময়ে প্যানিক অ্যাটাক এবং ব্রিদিং সমস্যা দেখা দেওয়ায় অভিযোগকারিনী মূল অভিযুক্ত-সহ বাকিদের বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতেও সাহায্য করেননি অভিযুক্ত।
পরে ইনহেলার কিনে এনে দিতে বলেন অভিযোগকারিনী। অভিযুক্ত তখন একজনকে দিয়ে ইনহেলার আনিয়ে দেন। অভিযোগকারিনীর বক্তব্য, সেটি নিয়ে তিনি সাময়িক সুস্থ বোধ করেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরও ছাড় মেলেনি। নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে চলে যৌন নির্যাতন!
কী এই প্যানিক অ্যাটাক?
অতিরিক্ত ভয় কিংবা মানসিক উত্তেজনা থেকে দেখা দেয় এই প্যানিক অ্যাটাক।কারও কারও পেটে বাটারফ্লাই এফেক্ট হয়। কারও সেই মুহূর্তে পালস রেট প্রচণ্ড বেড়ে যায়। কারও প্রেশার বেড়ে যায়। আবার কারও ভয়ঙ্কর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়।যদি কারও ভয়ঙ্কর রকমের প্যানিক অ্যাটাকের সমস্যা থাকে, তাঁকে নিয়মিত মেডিসিন বা ইনহেলার নিতে হয়। অনেকের মনে হয় দমবন্ধ হয়ে যায়। মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
অভিযোগকারিনীর এই বর্ণনা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত-সহ ২ জনকে। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে মহিলা কমিশন। তিন দিনের মধ্যে সিপি-র কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এই ঘটনায় আবার মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের ছবি সামনে আসায় বিতর্ক দানা বাঁধে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। কুণাল বলেন, ” তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি কর্মী এই ঘটনাকে নিন্দা করছে। যে জানোয়ারগুলো এগুলো করেছে, মেরে পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া উচিত। যত অপরাধ রয়েছে, সব থেকে কুৎসিত অপরাধ জোরপূর্বক যৌন অত্যাচার। নাম-পদবী-জাতি বড় কথা নয়। শাস্তি হওয়া উচিত, এটাই বড় কথা।”

