AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

KMC property tax: অর্থ সঙ্কটে ধুঁকছে পুরনিগম! ধাক্কা সামলাতে এবার নতুন উপায়

KMC property tax: পুরসভার আর্থিক সঙ্কটের ছবি আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। এবার নয়া বিজ্ঞপ্তিতে সেই ছবি আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

KMC property tax: অর্থ সঙ্কটে ধুঁকছে পুরনিগম! ধাক্কা সামলাতে এবার নতুন উপায়
কলকাতা পুরনিগম। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 6:31 PM
Share

কলকাতা : আর্থিক অবস্থা তলানিতে ঠেকেছে কলকাতা পুরনিগমে। এবার তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া পন্থা নিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। মাঠে নেমে বকেয়া সম্পত্তিকর তোলার নির্দেশ দেওয়া হল পুরকর্তাদের। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, টাকার অভাব মেটাতেই এই পথে হাঁটছে পুরনিগম। শুধু কর আদায় করাই নয়, টাকা আদায় করার জন্য কী ভাবে কথা বলতে হবে, কোন ক্ষেত্রে কারা কথা বলবেন, সেই নির্দেশও দিয়েছেন পুর কমিশনার। গত মাসে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এমনিতে কর আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে এগোনোর চেষ্টা করেন রাজস্ব কর বিভাগের পুর আধিকারিকরা। কিন্তু আর্থিক অবস্থা এতটাই করুণ যে, কাদের সঙ্গে কী ভাবে কথা বলে টাকা আদায় করতে হবে, সেই নির্দেশও বেঁধে দিয়েছেন কমিশনার। যেখানে বলা হয়েছে, ১ কোটি টাকার ওপর কর খেলাপি হলে চিফ ম্যানেজারদের বিষয়টতে নজর দিতে হবে। ২৫ লক্ষ টাকার ওপর যাঁদের বকেয়া তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন এরিয়া ম্যানেজার বা বরো আধিকারিকরা। টাকা

আর্থিক দুর্দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পুর নিগমের চেয়ারপার্সন মালা রায়। তিনি উল্লেখ করেছেন, কলকাতা পুরনিগমের কর বা রাজস্ব আদায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালা রায় স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘কলকাতা পুরনিগম অর্থনৈতিক সঙ্কটে ডুবে গিয়েছে। সব উন্নয়নের কাজ থমকে গিয়েছে। ভাঁড়ারে অর্থ নেই। তাই পুরনিগমের কমিশনার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’

উল্লেখ্য, আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে  ঠিকাদারদের কাজের বিল দেওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চলতি বছরের শুরুতে। কোষাগারের কীভাবে হাল ফিরবে, তা নিয়ে সংশয়ে খোদ পুর কর্তারাও। এমনকি গত জানুয়ারি মাসে অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে কলকাতা পুরনিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশনও আটকে গিয়েছিল। নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছিল, ক্রাইসিস অব ফান্ড অর্থাৎ টাকা নেই পুরনিগমের ভাঁড়ারে। সেই সময় টাকার অভাবের কথা মেনে নিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তাই কোপ পড়েছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশনে। এ ছাড়া পুরনিগমে অনেক শূন্যপদ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে আগেই।