‘আধ ঘণ্টারও বেশি দাঁড়ালে মিলছে না দেখা’, বিধিনিষেধ শিথিল হলেও কার্যত বাস-শূন্য শহর-শহরতলি
বাস মালিকদের সংগঠনগুলি বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। খরচ তুলতে না পারলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে মালিক পক্ষকেই।
কলকাতা: এক মাসের বিধিনিষেধ কাটিয়ে আজ থেকে পথে বাস (Bus)। ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ মালিকপক্ষের। পর্যাপ্ত পরিবহণ নিয়ে সংশয়। রয়েছে ভোগান্তির আশঙ্কাও।
দেড় মাস বাসের চাকা গড়ায়নি। বিভিন্ন স্ট্যান্ডগুলিতে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বাস। দীর্ঘদিন বসে থাকায় খারাপ হয়েছে বাসের যন্ত্রাংশ। যা সারাই করা খরচ সাপেক্ষ। জানাচ্ছেন মালিকরাই। আজ থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলার কথা। কিন্তু বেসরকারি বাস সংগঠন আগেই জানিয়ে দিয়েছে পুরনো ভাড়ায় ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। আর কার্যত তারই প্রতিফলন দেখা গেল বৃহস্পতিবার সকালে। শহর-জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রী থাকলেও বাসের সংখ্যা হাতে গোনা।
বাস মালিকদের সংগঠনগুলি বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। খরচ তুলতে না পারলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে মালিক পক্ষকেই। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-সহ বাকি সংগঠনগুলিও বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলেছে।
অনেক ক্ষেত্রে বাস চালানো সম্ভবই হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস সমন্বয় সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নিখিল বলেন, “রাজ্য সরকারের কথাটা বাস্তবসম্মত নয়। আগে থেকেই আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। তখন থেকেই দাবি তুলেছিলাম। তার মধ্যে যেভাবে জ্বালানির দাম গগনচুম্বী হচ্ছে! এ তো আম জনতাও জানেন। এরই মধ্যে কোনও কনসিডারেশন ছাড়াই বলে দেওয়া হল ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। সেটা কীভাবে সম্ভব? আগেরবার মুখ্যমন্ত্রী তাও একটা আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাতে গাড়ি চালাতে পেরেছিলাম। কিন্তু এবার তিনি কোনও আশ্বাসই দেননি। তাতে কীভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব?”
আরও পড়ুন: মুকুল পাচ্ছেন সুজনের ৬৫! বিধানসভায় এই আসনের গুরুত্ব কোথায়?
মোটের ওপর কলকাতা-জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে এদিন বাসের সংখ্যা নেহাতই কম। সেকথা বলেছেন যাত্রীরাও। তাঁদের বক্তব্য, “আধ ঘণ্টার বেশি দাঁড়িয়ে থাকলেও বাসের দেখা মিলছে না।” তবে বিধিনিষেধ শিথিল হলেও কলকাতা বা জেলায় কত সংখ্যক বাস বা মিনিবাস নামবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য আগেই বলেছিলেন, “আমি বাস মালিকদের কাছে অনুরোধ করব যাত্রীদের কথা ভেবে অন্তত বাসটা চালাতে।সরকারি বাস ১০০ শতাংশ নামাব।” কিন্তু সে অর্থে রাস্তায় সরকারি বাসেরও দেখা মেলেনি, বলছেন যাত্রীরাই।