‘সংসার চলছে না’, সহকর্মীদের সে কথা জানিয়েছিলেন! বাসেই উদ্ধার চালকের দেহ
Bus Driver Unnatural Death: গড়িয়ার বাসিন্দা রঞ্জিত দাস অবিবাহিত। দাদা বৌদির সংসারে তিনিই ছিলেন মুখ্য রোজগেরে।
কলকাতা: বাসের মধ্যেই উদ্ধার চালকের দেহ। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকুরিয়া ব্রিজের নীচে ঢাকুরিয়া-হাওড়া রুটের (Dhakuria Howrah Route) ৩৭ নম্বর রুটের বাসের মধ্যে এক চালকের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম রঞ্জিত দাস (৪৬)। প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
গড়িয়ার বাসিন্দা রঞ্জিত দাস অবিবাহিত। দাদা বৌদির সংসারে তিনিই ছিলেন মুখ্য রোজগেরে। সহকর্মীরা বলছেন, মাঝেমধ্যেই রঞ্জিত বলতেন ‘সংসার চলছে না।’ বিধানসভা নির্বাচনের সময় বাস দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকাও এখনও বাকি। বুধবার রাতে কাজ সেরে আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে সহকর্মীরাই বাসের মধ্যে তাঁর দেহ দেখতে পান।
দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ এখনও জানা যায় নি। তবে সহকর্মীদের দাবি, আর্থিক অনটনেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে লাগাতর আন্দোলনে রয়েছেন বাস মালিকরা।
আরও পড়ুন: রাজভবনের কর্মীদের আবাসনের ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণা! প্রকাশ্যে সনাতনের আরেক কীর্তি
বিধি নিষেধের বেড়াজাল শিথিল হলেও রাস্তায় বাস নামাতে চাইছেন না তাঁরা। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, কাজ না পেয়ে দুর্বিষহ অবস্থা বাস চালক ও কর্মচারীদের। পরিবহণ কর্মীর এই মৃত্যুতে আরও একবার দুর্বিষহ চিত্রটা সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বলে দাবি রঞ্জিতের সহকর্মীদের।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা বলেন, “লকডাউন বহু মানুষের রুজিরুটি কেড়েছে, এটা অস্বীকারের জায়গা নেই। দিন আনা দিন খাওয়ার মানুষগুলোর বেশি কষ্ট। সংসার চালানো তাঁদের আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠেছে। এই ব্যক্তির আত্মহত্যার কারণ আসলে কী, তা অনুসন্ধান করা হবে। আদৌ আত্মহত্যা না অন্য কোনও ঘটনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। তবে অভাব অস্বীকারের জায়গা নেই।দীর্ঘদিন বাস না চলায় তাঁদের অবস্থা কঠিন। পুলিশ তদন্ত করছে।”