AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘প্রেস্টিজ ফেস’ বার্তা! এবার থেকে পোস্টারে দিলীপের পাশাপাশি শুভেন্দুর ছবিও

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্যকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এ বার থেকে দলের পোস্টারে দিলীপের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবিও রাখা যেতে পারে।

'প্রেস্টিজ ফেস' বার্তা! এবার থেকে পোস্টারে দিলীপের পাশাপাশি শুভেন্দুর ছবিও
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jun 29, 2021 | 10:02 AM
Share

কলকাতা: বিজেপির পোস্টারে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) পাশে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ছবিও। সূত্রের খবর, দীর্ঘ জলঘোলার পর বিজেপি অন্দরে দু’জনকেই সম মর্যাদা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্যকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এ বার থেকে দলের পোস্টারে দিলীপের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবিও রাখা যেতে পারে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, একুশের নির্বাচনে কার্যত মমতা ক্যারিশ্মার কাছে মুখ পুড়েছে পদ্ম শিবিরের। শুভেন্দুই একমাত্র মোদী-শাহর কাছে ‘প্রেস্টিজ ফেস’। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেক্কা দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নিজের কদর অনেকটাই বাড়িয়ে ফেলেছেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারী এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিধানসভার অন্দরে ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত।

বিশ্লেষকদের ধারণা, শুভেন্দুকে এগিয়ে দিয়ে বা হাইলাইট করে মমতার “ব্যক্তিগত পরাজয়” কে বার বার উস্কে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে ভিন দল থেকে আসা একের পর এক নেতা যখন ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য মমতার সামনে নাকেখত দিতেও রাজি তখন শুভেন্দু কেই খাঁটি এবং ‘দীর্ঘমেয়াদি’ বলে ধরে নিচ্ছে বিজেপি। পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলি দলের চোখে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা বাড়ানোর পক্ষে অনুকূল।

আরও পড়ুন: পদ্মশিবিরের আলোচ্যসূচিতে কি গুরুত্বহীন ‘ভোট বিপর্যয়’? নজর কেবল পুরনো কর্মীদের ক্ষোভেই?

তবে বিজেপি নেতৃত্ব বিতর্ক এড়াতে দাবি করছেন, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে কোনও ভাগাভাগি আগে ছিল না। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও অবশ্য আগে বলেছেন, শুভেন্দুর সঙ্গে কাজ করতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষকে সমমর্যাদা দেওয়া হয় কিনা, তা দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির সংবিধানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও রাজ্য সভাপতির গুরুত্ব সমান।