পদ্মশিবিরের আলোচ্যসূচিতে কি গুরুত্বহীন ‘ভোট বিপর্যয়’? নজর কেবল পুরনো কর্মীদের ক্ষোভেই?
বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষকে সমমর্যাদা দেওয়া হয় কিনা, তা দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কলকাতা: ভোটের ফল প্রকাশের পর আজ, মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটির পূর্ণাঙ্গ বৈঠক (Bengal BJP State Committee Meeting )। ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে বঙ্গভঙ্গ বিতর্ক, দলত্যাগী প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারে এই বৈঠকে।
এক নজরে বিজেপির বৈঠকের আলোচ্য ইস্যু ♦ তৃণমূল থেকে নির্বিচারে লোক নেওয়া কি ঠিক ছিল?
♦ বৈঠকে কি আসবেন ভোটের পর উধাও কৈলাস বিজয়বর্গীয়?
♦ বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কি বৈঠকে আসবেন?
♦ শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের বোঝাপড়া কি সুদৃঢ় হবে?
♦ বঙ্গভঙ্গ বিতর্ক দলের লাভ না ক্ষতি?
একুশের নির্বাচনে কার্যত ‘ভরাডুবি’র পর বিশ্লেষণাত্মক বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্য নেতৃত্ব। তবে প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভা ভোটে যে দলটা বাংলায় ২০০ আসনের টার্গেট রেখেছিল, ক্ষমতা দখলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল, পরাজয়ের কারণ খুঁজতে তাদের এই ধীরগতি কেন? বিজেপির একটি সূত্র বলছে, আসলে ভোটে পরাজয়ের কারণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করার ইচ্ছে বিশেষ নেই নেতৃত্বে। এই নিয়ে দল অন্দরে ‘আনঅফিসিয়ালি’ কথা হয়েছে অনেকবারই। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকে আঙুল উঠতে পারে। অর্থাৎ অনেকেই মনে করছেন, ভোটের ঠিক আগেই নির্বিচারে তৃণমূল থেকে লোক নেওয়াটা দলের পুরনো কর্মীদের অহং-এ আঘাত হেনেছে। রাজ্য বিজেপির একাংশের মতে, ভোটের আগে শেষ মুহূর্তে তৃণমূল এবং অন্য দল থেকে যাঁদের নেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনেকের সম্পর্কেই জনমানসে ক্ষোভ ছিল।
আবার বিজেপির একটি অংশ, এই ফলকে বিপর্যয় বলে মেনে নিতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, বিধানসভায় আসন বহু গুণে বাড়িয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলের ভূমিকাতেও উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই বিপর্যয় নিয়ে কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন নেই।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জেপি নাড্ডা। তবে শোনা গিয়েছিল, বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। পরে বিজেপি অন্দরে এ হেন প্রশ্নে কোনও আপডেট হয়েছে কিনা, তা এদিন দেখার রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে কৈলাসের উপস্থিতির সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘দোলাচলে’ রাজীব হাঁটবেন কোন পথে? উত্তর মিলতে পারে আজ
বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষকে সমমর্যাদা দেওয়া হয় কিনা, তা দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির সংবিধানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও রাজ্য সভাপতির গুরুত্ব সমান। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট হতে পারে এদিন। পাশাপাশি বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে বৈঠক অন্দরে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিষদীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে বঙ্গ বিজেপির ভূমিকা নতুন, আলোচনা হতে পারে তা নিয়েও।