দেবাঞ্জনের হাত কতদূর লম্বা? জানতে এবার আসরে ইডি

Debanjan Deb: এফআইআর-এর সব কপি চাওয়া হয়েছে। তথ্য চাওয়া হয়েছে মানি ট্রেল সম্পর্কেও। মঙ্গলবার একটি জায়গায় ইডির রেড করার কথা রয়েছে।

দেবাঞ্জনের হাত কতদূর লম্বা? জানতে এবার আসরে ইডি
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 29, 2021 | 11:08 AM

কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের (Kasba Fake Vaccination Camp) জাল কতদূর ছড়িয়েছে? আর কারা কারা যুক্ত? আর্থিক লেনদেন কীভাবে হত? এবার এই ঘটনার তদন্তে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এগিয়ে এল ইডি (ED)। দেবাঞ্জনের (Debanjan Deb) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কতগুলি এফআইআর হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। লালবাজারের কাছ থেকে কসবা থানায় এফআইআর-এর সব কপি চাওয়া হয়েছে। তথ্য চাওয়া হয়েছে মানি ট্রেল সম্পর্কেও। মঙ্গলবার একটি জায়গায় ইডির রেড করার কথা রয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি এই তদন্তভার ইডি হাতে নিচ্ছে?

দেবাঞ্জনের টাকার উৎস কোথায়, সেই টাকা কীভাবে ব্যবহার করা হত? এ সবই তলিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এফআইআর-এর সমস্ত কপি খতিয়ে দেখার পরই  দিল্লিতে ইডির বিশেষ কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  এর আগে রেমডিসিভির দুর্নীতি মামলাতেও স্বতঃপ্রণোদিতভাবে যুক্ত হয়েছিল ইডি।

সোমবারই দেবাঞ্জন দেবের দুই সহযোগী কাঞ্চন ও শরৎ পাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কাঞ্চন দেবাঞ্জনের দূর সম্পর্কের দাদা হন। তিনি অফিসের যাবতীয় জিনিসপত্রের দেখাশোনা করতেন। দেবাঞ্জন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, অফিসের কোনও কিছু কেনার হলে, কোনও টাকার প্রয়োজন হলে. বাড়তি টাকা আদায় করে নিতেন কাঞ্চন। অর্থাৎ ২’হাজার টাকা ব্যয় হলে, আদায় করতেন তার দ্বিগুণ টাকা!

দেবাঞ্জন যে ভুয়ো আইএএস, তা জানতেন কাঞ্চন! আর হয়তো সেই কারণেই কাঞ্চনের ওপর বিশেষ চাপ দিতে পারেননি ‘অ্যাটিটিউডওয়ালা’ দেবাঞ্জন। চুপচাপ বাড়তি টাকা দিয়ে যেতেন! কিন্তু সব ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তদন্তকারীদের কাছে নিজের আফসোসের কথা জানিয়েছেন দেবাঞ্জন। বলেছেন, ‘আমি তো নিজেই প্রতারিত। দাদাই প্রতারণা করতে আমার সঙ্গে।’ দেবাঞ্জনের ভুয়ো ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ‘অপারেশন’এর যাবতীয় তথ্য জানতেন কাঞ্চন।

অন্যদিকে, ধৃত শরৎ পাত্র একজন স্বাস্থ্যকর্মী। আর সেই সুযোগে কসবা, নর্থ সিটি কলেজে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা তাঁর পক্ষে সহজ হয়েছিল। তিনিই টিকা দিতেন। অ্যামিকাসের ইঞ্জেকশন, যেটি কোভিশিল্ড বলে চালানো হয়েছিল, সেই ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন শরৎ পাত্র।

আরও পড়ুন: ‘আমি তো নিজেই প্রতারিত’, জীবনের অন্য দিক ফাঁস করে তদন্তকারীদের কাছে আফসোস দেবাঞ্জনের

দেবাঞ্জন দেব একাই নন, এর আগে গ্রেফতার হওয়ায় তাঁর ৩ সঙ্গীর বিরুদ্ধেও রুজু হয়েছে খুনের চেষ্টার মামলা। কোভিশিল্ডের নামে অ্যামিকাসিন দেওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। সুস্থ মানুষকে এই অ্যান্টি বায়োটিক দিলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। দেবাঞ্জন, কাঞ্চন ও শরৎকে আজকে আলিপুর আদালতে পেশা করা হবে। এরপর তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।