রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘দোলাচলে’ রাজীব হাঁটবেন কোন পথে? উত্তর মিলতে পারে আজ
জই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন রাজীব। তিনি এই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।
কলকাতা: কুণাল ঘোষের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত, পদ্ম শিবিরের রাজ্য নেতৃত্বের উদ্দেশে জোড়া চিঠি অতঃপর বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে ডাক- দলবদলের জল্পনার মধ্যেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) রাজনৈতিক জীবনের একের পর এক ‘লেয়ার’ প্রকাশ্যে আসছে। ২৯ তারিখ, মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে। জানা যাচ্ছে, সেখানে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আজই রাজীবের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা মিলবে।
বিধানসভার নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর পদ্মশিবিরের হয়েই নির্বাচনে লড়া ও পরাজয়। এরপর থেকেই খুব একটা প্রকাশ্যে আসতে দেখা যাচ্ছিল না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর আচমকাই রাজীবের একটা ফেসবুক পোস্ট জল্পনা বাড়ায়। দিল্লিতে যখন শুভেন্দু অধিকারী ৩৫৬ ধারার হয়ে সুর চড়াচ্ছেন, তখন ‘৩৫৬ জুজু’ উদ্ধৃত পোস্টটি করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলে রাতারাতি শোরগোল। তখন অবশ্য মুকুলের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। রাজনীতির ভার্টিক্যাল ট্রেন্ডিংয়ে তখন রাজীব-চর্চা।
এরই মাঝে আচমকাই কুণাল ঘোষের বাড়িতে তাঁর ‘সৌজন্য’ সাক্ষাৎ, ‘মা মাটি মানুষ’ লেখা ব্যাজ রাখা গাড়িতে চড়া, কুণালের বাড়িতে দাঁড়িয়েই দল অর্থাৎ বিজেপির নীতির প্রকাশ্যে সমালোচনা করা- সবেতেই প্রত্যাবর্তনের জল্পনা বাড়িয়েছিলেন রাজীব। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেছেন, রাজীব তৃণমূলে ফিরতে আগ্রহী। কিন্তু মুকুল রায়ের ঘর ওয়াপসির দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, যাঁরা নির্বাচনের আগে বিজেপির হাত শক্ত করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের আর তৃণমূলে কোনও স্থান নেই! আর হয়তো ঠিক সেই জায়গাতেই আটকে গিয়েছেন রাজীব।
আরও পড়ুন: বিধানসভার সর্বদল বৈঠকে ব্রাত্য নওসাদ, ক্ষোভ উগরে চিঠি স্পিকারকে
তৃণমূলে আসার জল্পনা নিয়ে চলছে বিস্তর জলঘোলা। এসবের মাঝেই আবার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে জোড়া চিঠি দেন রাজীব। তবে কি ফের সুর নরম? তা নিয়েও শুরু হয় জল্পনা। আজ, বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে ডাক পেয়েছেন রাজীব। রথীন্দ্রনাথ বসুকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আজই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন রাজীব। তিনি এই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।