Dilip Ghosh On Duare Ration: ‘লোকের কাছে ভাল সাজতে চাইছেন…’, দুয়ারে রেশন নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
Dilip Ghosh on Duare Ration: "লোককে দেখাচ্ছে আপনাদের জন্য আমি খুব ভাবি। লোক এটা চায়নি। দুয়ারে কে পৌঁছাবে রেশন?"
বুধবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের পর দিলীপ বলেন, “লোককে দেখাচ্ছে আপনাদের জন্য আমি খুব ভাবি। লোক এটা চায়নি। দুয়ারে কে পৌঁছাবে রেশন?” ইতিমধ্যেই দুয়ারে রেশন নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। অস্বিত্ব রক্ষার তাগিদে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রেশন ডিলাররা। কিন্তু তাঁদের আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
আইনি জটিলতা কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে রেশন কর্মসূচি। রেশন ডিলারদের পরিস্থিতি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ডিলারদের আদালতে যেতে হল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে রেশন, এগুলো মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। ডিলারদের ভয় দেখিয়ে, চমকে বেশিদিন সরকার চালানো যায় না। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।”
একুশের ভোটে তৃণমূলের দলীয় ইসতাহারে উল্লেখ ছিল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের। তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে সেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালুও হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ডিলারদের একাংশের বেঁকে বসা, দুয়ারে রেশন দিতে আপত্তি জানিয়ে তাঁদের আদালতে ছোটা, আদালতের কাছ থেকে খালি হাতে ফেরা! বহু চড়াই উতরাই পার করে অবশেষে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি এই দুয়ারে রেশন। মঙ্গলবার ১৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীই উদ্বোধন করবেন এই প্রকল্পের। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আমাদের ১০০ শতাংশ বাড়ির ঠিকানায় দুয়ারে রেশন পৌঁছে যাবে। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে এই প্রকল্পের সূচনা হবে।”
মঙ্গলবারই একাধিক জেলায় রেশন সামগ্রী নিয়ে গাড়ি রওনা দিয়েছে। গ্রাহকের হাতে রেশন তুলে দেওয়া হবে। রাজ্যের ১০ কোটি গ্রাহককে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে খাদ্য দফতর। করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তা ঘোষণা করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রায় ২১ হাজার রেশন ডিলার রয়েছেন এ রাজ্যে। মাসে একবার গিয়ে বাড়িতে রেশন দেওয়া হবে। যারা বাড়িতে রেশন নিতে চান না, চাইলে রেশন দোকানে গিয়েও রেশন নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে রাজ্য জুড়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু করে খাদ্য দফতর। কিন্তু এরই মধ্যে রেশন ডিলাররা মামলা করে আদালতে। রেশন ডিলারদের বক্তব্য ছিল, এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার ফলে, ডিলারদের উপর চাপ বাড়ছে। ডিলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসতে হচ্ছে। সরকারি এই প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তাঁরা।
কিন্তু হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্য। বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, “প্রয়োজনীয়তাই হল উদ্ভাবনের মূল কারণ। একটা অদৃশ্য ভাইরাস মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই বেঁচে থাকার নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কার করতে শিখিয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মানুষ বাধ্য হয়েছে ঘরবন্দি থাকতে। বিভিন্ন সংস্থা মানুষের দরজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নতুন উপায় আবিষ্কার করেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো এবিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সরকারি বা আধা-সরকারি সংস্থাগুলিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।”
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রনীতির অংশ সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’, রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ ভারতের