Kolkata Drowning: বন্ধুরা কলেজের জন্য ডেকে নিয়ে যান, বাগবাজার ঘাটে মণীন্দ্রচন্দ্রের ছাত্রের ভয়ঙ্কর পরিণতি

Kolkata Drowning: ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, বন্ধুরা তাঁকে ঠেলে গঙ্গায় ফেলে দিয়েছেন। সেদিন সৈয়দের সঙ্গে গঙ্গাঘাটে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ।

Kolkata Drowning: বন্ধুরা কলেজের জন্য ডেকে নিয়ে যান,  বাগবাজার ঘাটে মণীন্দ্রচন্দ্রের ছাত্রের ভয়ঙ্কর পরিণতি
বাগবাজার ঘাটে সেলফি তুলতে গিয়ে বিপত্তি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2023 | 3:50 PM

কলকাতা: বছর শুরুর দিক। এখনও পর্যন্ত ছুটির মেজাজেই আছেন সকলেই। কলেজে গিয়েও তাই শীতের সকালে ফুরফুরে মেজাজে গিয়েছিলেন গঙ্গায়। গঙ্গাবক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সেলফিও তুলছিলেন। কিন্তু বিপত্তি। সেলফি তুলতে গিয়ে গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে গেলেন কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাগবাজার গঙ্গার ঘাটে। এখনও পর্যন্ত ওই ছাত্রের খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ ছাত্রের নাম শেখ সৈয়দ (১৮)। জানা যাচ্ছে, সৈয়দ টালা শ্রী চন্দ্রলেনের বাসিন্দা। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সৈয়দ। নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের তরফে অবশ্য অন্য অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, বন্ধুরা তাঁকে ঠেলে গঙ্গায় ফেলে দিয়েছেন। সেদিন সৈয়দের সঙ্গে গঙ্গাঘাটে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার কলেজে গিয়েছিলেন শেখ সৈয়দ।  পরিবারের সদস্যদের দাবি, ৫-৬ জন বন্ধু তাঁকে বাড়ি থেকে কলেজে যাবে বলে ফোনে ডেকে নিয়ে যান। একটি মেয়ে সৈয়দকে ফোন করে ডাকেন বলে দাবি পরিবারের। দুপুর ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সৈয়দ। তারপর পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিকালের সময়ে সৈয়দের ওই বন্ধুরাই ফোন করে জানান, বাগবাজার গঙ্গার লক গেটে তাঁরা সবাই গিয়েছিলেন। সেখানে সৈয়দ সেলফি তুলতে গেলে গঙ্গায় পড়ে যান। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ছেলেটা এতবার ফোন করছিল, যে খেতেও দিচ্ছিল না। আমাদের বলেছিল কলেজে যাচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার কলেজও বন্ধ ছিল, পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি। যে জায়গায় সেলফি তোলার কথা বলা হচ্ছে, সেটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি জায়গা। সেখানে দাঁড়িয়ে কেউ সেলফি তুলবেন না। অন্তত সৈয়দ অত্যন্ত ভীতু ছেলে, সে এটা করবে না। বন্ধুরাই এর সঙ্গে জড়িত।”

পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নর্থ পোর্ট থানায় তাঁরা বিষয়টি জানান। ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।  এখনও দেহ উদ্ধার হয়নি। শেখ সৈয়দের পরিবারের লোকেদের বক্তব্য,  বন্ধুরাই ওকে ফেলে দিয়েছেন গঙ্গায়। সৈয়দ সাঁতার জানতেন না বলে দাবি পরিবারের।  বন্ধুদের বিরুদ্ধে নর্থ পোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁদের  জিজ্ঞাসাবাদ করছে নর্থ পোর্ট থানা। তবে TV9 বাংলার তরফে ওই যুবক যুবতীকে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়।